ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

হাতিয়ায় টানা বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত প্রায় ৩০টি গ্রাম!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০  

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাড়ে ১৫ কিলোমিটার বাঁধের সংকটে টানা বৃষ্টি আর জোয়ারে দশটি ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকের রান্নাবান্না পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটও। অনেক পরিবারকে উঁচু সড়ক ও বেড়িবাঁধের উপর এবং খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, হাতিয়ার সাড়ে সাত কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কোনো বেড়িবাঁধ নাই। আর আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ ইউনিয়নের অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
“এতে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ গত ছয়দিন থেকে পানিবন্দি হয়ে আছে। জোয়ারে ভেসে গেছে বসতঘর, দোকানপাট, পুকুরের মাছ; নষ্ট হয়েছে পাকা আউশ ধান।”

আর এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সময়ে হাতিয়ায় ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় গত ছয়দিন ধরে সকাল-বিকাল দুই বেলার অস্বাভাবিকভাবে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া বেড়িবাঁধ ভেঙে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা,পূর্বমাইজচরা, মধ্যম মাইজচরা ও তমরদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া গ্রামের বাড়িঘর জোয়ারে ভেসে যাওয়ায় অনেক পরিবার উঁচু সড়ক ও বেড়ির উপরে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।

সুখচর ইউনিয়নের চরআমান উল্যা, বৌ বাজার, চেয়ারম্যান বাজার, নলচিরা ইউনিয়নের তুপানিয়া, নলচিরা ঘাট, আফাজিয়া বাজার, চর ঈশ্বর ইউনিয়নের তালুদার গ্রাম, ফরাজী গ্রাম, ৭ নম্বর গ্রাম, মাইচচা মার্কেট এলাকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, বাড়িঘর, হাট বাজার ও সড়কে পানি জমে থাকায় অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় তীব্র জোয়ারে নামার বাজার, শতফুল, ছায়াবীথিসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ ফুট পানি উঠেছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, জোয়ারে তিন হাজার গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া ভেসে গেছে। পুকুর ও মাছের ঘেরের অন্তত তিন কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে পানিতে। “বাড়িঘরে কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকায় অনেক পরিবার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। জোয়ারের তোড়ে সবগুলো কাঁচা এবং পাকা সড়ক বিধস্ত হওয়ায় দ্বীপের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। তাই অতি দ্রুত “নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ির মেরামত না করা গেলে মানুষকে দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না।