ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তার্কি পালনে স্বাবলম্বী আবদুল বাকের

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২০  

নোয়াখালীর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে তার্কি মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মো: আবদুল বাকের মাসুদ নামের এক উদ্যোমী যুবক। যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষনের মাত্র ৬২০ টাকা ভাতার অর্থ দিয়ে ১২টি মুরগি ক্রয় করে শুরু করেন খামার। বর্তমানে তার্কি, তিথি সহ তার খামারে ১২হাজার মুরগি রয়েছে। তার খামার দেখে অনেক বেকার যুবক এই খামার করে লাভের মূখ দেখছেন।

নোয়াখালীর শহরতলীর এ ইউনিয়নের এক উদ্যোমী যুবক মাসুদ। একাউনটিং এ মাস্টার্স পাশ করে চাকুরীর জন্যে করো কাছে ধরনা না দিয়ে ১৯৯৪ সালে ফেনীতে পোলট্রি খামারের উপর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন নেন। প্রশিক্ষন ভাতার ৬২০ টাকা দিয়ে ১২টি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে তিনি প্রথম ব্যবসায়ীক ভাবে মুরগী খামার শুরু করেন। তার্কি, তিথি সহ তার খামারে বর্তমানে ১২হাজার মুরগি রয়েছে। দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে সে স্বাবলম্বী এবং তার পুঁজিও (মূলধন) অনেক বেড়েছে।

খামার মালিক আবদুল বাকের মাসুদ জানান, সাধারণ মুরগির চেয়ে তার্কি মুরগী উৎপাদন খরচ খুবই কম এবং এ মুরগীর বাজার মূল্যও অনেক বেশী। এক জোড়া তার্কি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে ৩ হাজার ৫শত টাকায় আর বড় মুরগী প্রতি জোড়া ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় তিনি বিক্রি করে থাকেন। তাই সাধারণ মুরগির চেয়ে তার্কি মুরগি পালনে বেশি নজর দিচ্ছেন বলেও জানান মাসুদ। এই খামার থেকে সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে মাসুদ আয় করেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

তিনি আরো জানান, তার মা ও বড় বোন তাকে এই কাজে সবচেয়ে বেশী সহযোগীতা করেন। এছাড়া কয়েকজন কর্মচারী খামারে কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছে। তার সফলতা ও খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামার করে লাভের মূখ দেখছেন ।

এলাকার একাধিক খামারিরা জানায়, মাসুদের খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো অনেকে তার্কি মুরগির খামার করে লাভের মুখ দেখছেন।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ননী গোপাল বর্মণ বলেন, সাধারণ মুরগি খামারের চেয়ে তার্কি মুরগি পালনে খচর কম এবং লাভ অনেক বেশি হওয়ায় অনেকেই এ খামারের দিকে ঝুকছেন। তাই দিন দিন এই তার্কি মুরগির উৎপাদন বাড়ছে। আর তার্কি মুরগির রোগ বালাইও অন্য মুরগীর তুলনায় কম। তার্কি খামারিদের সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন বলেও জানান তিনি।