ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএডিসির ছোঁয়ায় উন্নয়নের এক নতুন মাত্রায় সুবর্ণচর

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৯  

গহীন বন কেটে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে খেটে খাওয়া মানুষেরা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা। মেঘনা তীর ঘেঁষে লবণ মাটিতে বসবাস এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষের। প্রকৃতির প্রতিকূলতায় পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হয় এখানকার মানুষদের।

নোয়াখালীর সর্বশেষ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় সবগুলোই এক সময় নদী, নতুন নতুন চর এবং ঘন জঙ্গল কেটে গড়ে তোলা। এক সময় এটি নোয়াখালীর সদর উপজেলার সঙ্গে থাকলেও ২০০৬ থেকে পৃথক উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নবগঠিত এ উপজেলার আয়ের উৎস কৃষি এবং মৎস্য আহরণ। এখানকার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের জীবিকা আসে কৃষি থেকে। 

কৃষিকাজের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় কৃষি বিষয়ক পরামর্শ পেয়ে থাকে। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও এ অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। এতে কৃষকদের জীবন জীবিকার মানোন্নয়ন হচ্ছে এবং স্বনির্ভর হচ্ছে দেশ ও জাতি।

এ অঞ্চলের কৃষকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১৪ সালে সুবর্ণচর উপজেলায় ১শ একর জমি নিয়ে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। পরে এক বছরের মাথায় আরও ২৭ একর বৃদ্ধি করে। ডাল ও তৈল বীজ বর্ধন খামার এবং বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে কাজ শুরু করলেও লবণাক্ততার কারণে ডাল ও তৈলে এর পাশাপাশি কাজ করছে ধান, সূর্যমুখী, সয়াবিন, সরিষা, মুগ, খেসারি নিয়ে কাজ করছে। সেই সঙ্গে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, তিথি এবং কবুতর নিয়েও কাজ করছে।

 নিজেদের উৎপাদনের পাশাপাশি উপজেলার কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে বিএডিসি। কৃষকদের অধিক উৎপাদন ও ভালো বীজ উৎপাদন এবং তাদের থেকে ন্যায্য দাম সংগ্রহ করে তারা। এতে ঊৎপাদনের পাশাপাশি দেওয়া হয় প্রশিক্ষণও। দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও আসে ঘুরতে।

সরেজমিনে গিয়ে সাক্ষাৎ হয় কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে। মো. খালেদ সাইফুল্লাহ নামে এক দর্শনার্থী জানান,  তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। প্রকৃতির এই সৌন্দয্য দেখতে তিনি প্রায় বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আসেন। তার দাবি, ডাল ও তৈল বীজ উৎপাদন খামার এবং বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণের পাশাপাশি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ ইউনিয়ের চাষি মো. আবুল কাশেম জানান, বিএডিসির পরামর্শ এবং সহায়তায় আমাদের ধানের ফলন ও মৌসুমি ফসল অনেক ভালো হচ্ছে। একই মত প্রকাশ করেন সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চাষি আব্দুল মজিদ এবং আনোয়ার হোসেন।

উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়ের এক সয়াবিন চাষি মো. আবুল হাসেম জানান, এক সময় আমরা সয়াবিনে লোকশান গুণতাম। বিএডিসির সহায়তায় এবং পরামর্শে এ দুবছর আমাদের ফলন অনেক ভালো হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর সুবর্ণচর উপজেলার উপপরিচালক মো. মাহমুদুল আলম জানান, প্রথমে আমরা ১শ একর নিয়ে কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে ২৭ একর বৃদ্ধি করি। এ বছর আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে গড়ে দৈনিক ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করে। ভবিষ্যতে সুবর্ণচর উপজেলাকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবে বিএডিসি।