সোনাপুরে উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত খাল

নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনটি খাল পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আর এই খালগুলো হল ছাগলমারা খাল, সোনাপুর-চরজব্বার খাল, সোনাপুর-নোবিপ্রবি খাল।
সোনাপুর বাজারের জিরো পয়েন্ট উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করা হয় সেনাবাহিনীকে। তবে উচ্ছেদে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন থেকে দখল, দূষণ আর সংস্কারের অভাবে এসব খালের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। শহরের পানি নামার একমাত্র পথ এ খালগুলোতে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর, দোকানপাটসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা।
যে কারণে প্রতি বছর বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শহরের বেশিরভাগ এলাকা থাকে জলমগ্ন। তলিয়ে যায় বাসাবাড়ি, অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

অবশেষে এসব খাল দখলমুক্ত এবং পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন, পৌরসভা। বিএডিসির মাধ্যমে ২৭ জুন থেকে মাইজদী পৌর বাজারের সামনে থেকে ছাগলমারা খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখননের মাধ্যমে এ কাজ শুরু হয়। তত্ত্বাবধান করে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
এরপর শনিবার সকাল থেকে সোনাপুর বাজারে খালের শত শত অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
সোনাপুর পৌর বাজার কমিটির সভাপতি সৈয়দ জামান নাসের লিটন জানান, উচ্ছেদ অভিযানের কারণে শত বছরের সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা পথে বসেছে। ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা ঋণের বোঝা কে নেবে? ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, মাইজদী থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ছাগলমারা খাল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খনন কাজ এগিয়ে নেয়া হবে, এক্ষেত্রে কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
যেকোনো মূল্যে এ খালগুলো আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান সদর-সুবর্ণচর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী।