ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আবু তাহের থেকে হলেন মুজিববাদী তাহের

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২০  

লক্ষীপুর পৌরসভার একাধিকবারের মেয়র আবু তাহের। মুজিব বর্ষ নিয়ে আলোচনাকালে তিনি তুলে ধরলেন স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশ, তৎকালিন রাজনীতি-৭৫ পেক্ষাপট ও নিজের মুজিববাদী তাহের হয়ে ওঠার গল্প।
 সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ১৯৭১ সাল, শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। লক্ষ্মীপুর বর্ডার থেকে পালিয়ে যাই ভারতে। উঠলাম পাতাওয়ালা একটি শরণার্থী শিবিরে। সেখান থেকে উদয়পুর ক্যাম্পে। ওই ক্যাম্পটি উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এখনো মনে পড়ে সেদিন ট্রেনিংয়ের অপেক্ষায় থাকা আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধার রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলাম নিজেই।
 এরপর প্রতি গ্রুপে দেড়শ’জনের ট্রেনিং শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ দেন। প্রথমে ওখানেই রাইফেল, এলএমজিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ট্রেনিং নেই। এরপর নির্দেশ এলো সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে হবে আমাকে।
ফেনীর কোল ঘেঁষে মুহুরী নদী। ওপারে ভারত। মুহুরী নদীর কাছাকাছি ছিলো পাক সেনাদের একটি ক্যাম্প। সেখানে মর্টার হামলা চালাই। এর দু’দিন পর একই নদীতে যাচ্ছিলো পাক সেনাদের ১৮টি স্পীড বোট। আমরা তখন কোম্পানীগঞ্জ ক্যাম্পে। কর্নেল জাফর ইমাম ছিলেন আমাদের কমান্ডার। তীরবর্তীস্থান থেকে গুলি করতে শুরু করি। সবগুলো স্পীডবোট ভাসতে থাকে। কতজন মারা গেছে, কতজন তলিয়ে গেছে- আজো বলতে পারবো না। এরপর লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সরাসরি যুদ্ধ করি।
প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ হওয়ার কারণে আর্টিলারী গ্রুপ কামান্ডার হিসেবে পরশুরাম, মুহুরী নদী, কোম্পানীগঞ্জ, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, চাটখিল, বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন সেক্টরে বীরত্বের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। ৪ ডিসেম্বর স্বাধীন হয় লক্ষ¥ীপুর।
তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু একদিন ডেকে পাঠালেন আমাকে। আমি দেখা করতে যাই। আমি কখনো তার সামনে চেয়ার কিংবা সোফায় বসিনি। তার পাশে গিয়ে পায়ের কাছে বসলাম। বঙ্গবন্ধু বললেন, আমার নামের সাথেই তোর নাম রাখবো। আমার বুক কাঁপতে থাকে। তিনি বললেন, আজ থেকে তুই ‘মুজিববাদী তাহের’।