ব্রেকিং:
ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হলে করণীয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সময় কাটান বেশিরভাগ মানুষই। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবারই সরব বিচরন এখানে। নিয়মিত ছবি থেকে শুরু করে মনের কথা, ব্যক্তিগত সবকিছুই শেয়ার করছেন। এতে করে অনেকেই সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হচ্ছেন। রেহাই পাচ্ছেন না নারী পুরুষ কেউই। 

নারীরা ও শিশুরা এর প্রধান শিকার। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাইবার বুলিং। 

সাইবার বুলিং কী?

এমন প্রশ্ন মনে আসতে পারে অনেকেরই। সাইবার বুলিং হলো ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে কারো ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন বা অন্যায় কোনো কিছুতে প্রলুব্ধ করাকে বোঝায়। বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ সাইবার বুলিংয়ের শিকার। 

তথ্য বলছে দেশের ৪৯ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের নিয়মিত শিকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, দেশের তিন-চতুর্থাংশ নারীই সাইবার বুলিংয়ের শিকার। কিশোর-কিশোরীরাই প্রথম দিকে এ ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিল। এখন এ ফাঁদে পা দিচ্ছেন মধ্যবয়সীরাও।  

তবে এ বিষয়টি অপ্রকাশিতই থেকে যায়। মাত্র ২৬ শতাংশ অনলাইনে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করে অভিযোগ দায়ের করেন। বাকিরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে থাকেন অভিযোগই করেন না।

শুধু যে সাইবার বুলিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। এছাড়াও মোবাইল ফোন বা ই-মেইলেও এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এতে করে নারীদের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অনিদ্রা ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করে আত্মহননের ঘটনাও ঘটতে পারে।

জেনে নিন সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হলে কী করবেন-

পরিবারের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করুন। অনেকেই সম্মান হারানোর ভয়ে চুপ করে থাকেন। জানেন কি? সাইবার বুলিংয়ে চুপ থাকার নীতিই বড় ক্ষতির অন্যতম কারণ। এতে করে অপরাধীরা আরো বেশি সুযোগ নেয়। তারা আর্থিক সুবিধা আদায় করতে করতে একসময় ভিকটিমকে যৌন নির্যাতনের ফাঁদেও ফেলে।

বাবা-মাদের উচিত হবে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করুন। তারা যেন কোনো সংকোচ ছাড়াই আপনাকে তার সব কথা খুলে বলতে পারে। এছাড়াও সাইবার বুলিং কী, ভার্চুয়াল জগতের পরিচিতরা কেন অনিরাপদ এবং একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য কেন সবার সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না এই ব্যাপারে তাদের বুঝিয়ে বলুন। ভার্চুয়াল জগতে সন্তান কি করছে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখুন।  

আইনি সহায়তা

যদি বিষয়টি পারিবারিক গণ্ডির বাইরে চলে যায়। তবে আপনাকে আইনের আশ্রয় নিতেই হবে। অনেকেই হয়তো বোঝাবে এক্ষেত্রে পুলিশি ঝামেলা এড়িয়ে চলাই ভালো। না, একেবারেই এই কাজ করবেন না। বরং এতে বিপদ আরো বাড়তে পারে। অনেকে পুলিশের কাছে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতে পারে সে কারনেও যান না। তবে এক্ষেত্রে কিছু ধাপ অনুসরণ করলে এই কঠিন কাজই খুব সহজ হয়ে যায়। 

এর মধ্যে প্রথম কাজ হচ্ছে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা। তবে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় না নিয়ে একা একা থানায় যাওয়াটাও বোকামি। সঙ্গে রাখতে হবে হয়রানির প্রমাণও। স্ক্রিন শট কিংবা মেসেজ।

হয়রানির শিকার যে কেউ এখন ৯৯৯ অথবা পুলিশের ফেসবুকে পেজে নক করলেও সহায়তা পাবেন। এ ছাড়া মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১০৯২১ নম্বরে গোপনীয়তা রক্ষা করে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয়। সরাসরি বিটিআরসি’র ফোনে ও ই-মেইলেও অভিযোগ করা যায়। বিড়ম্বনার শিকার যে অনলাইন জগতে সেই জগতেই এর সুরাহা সন্ধানেরও পথের দিশা পাওয়া যাবে।