ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বয়স ৫০ হওয়ায় আগেই অন্ধ হয়ে যায় এই গ্রামের পুরুষরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৯  

সাড়ে তিন শ’ মানুষ নিয়ে প্রায় তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সবুজ গাছে ঘেরা ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম। এই গ্রামের ৭৫ শতাংশ মানুষই অন্ধত্বের শিকার। পেরুর ‘প্যারান’ নামের এই গ্রামটি ‘অন্ধদের গ্রাম’ বা দৃষ্টিহীনদের গ্রাম  নামেই পরিচিত।
এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই চোখের একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। চোখের এই রোগটির নাম ‘রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা’ বা রাতকানা রোগ।

চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, ‘রাতকানা’ রোগের জন্য প্রধানত দায়ী এই রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা। এই রোগের চোখের টানেল ভিশন নষ্ট হয়ে যায়। চোখের ভেতরে রেটিনা নামের যে গুরুত্বপূর্ণ পাতলা মেমব্রেন থাকে, তার প্রধান দুটি অংশ হল রড ও কোণ। এই রড আর কোণ ফটো রিসেপ্টরের কাজ করে। এই রোগের ফলে রেটিনার রড কোষ ধীরে ধীরে তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

প্যারান গ্রামের বেশির ভাগ মানুই রেটিনাইটিস পিগমেনটোসায় আক্রান্ত। এই রোগের কারণে এ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কারো শৈশব থেকেই দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, কারো আবার বয়স পঞ্চাশ পার না হতেই চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসে। 

জানা যায়, এক সময় ওই অঞ্চলে সোনা, রুপা খোঁজতে বের হয় একটি খনন সংস্থা। এই খনন সংস্থার কল্যাণেই এ গ্রামের মানুষ প্রথম চিকিৎসার সুযোগ পান। সে সময়ই এই গ্রামে আসা একদল চিকিত্সক পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, চোখের এই রোগ আসলে জন্মগত। এক্স ক্রোমোজোমের সমস্যা থেকেই এই রোগের সৃষ্টি হয়।

নারীদের চেয়ে ‘রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা’-এ পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হন। পর পর বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে, এই গ্রামে ছেলে সন্তান জন্মালে তার অন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। এই কারণেই এই গ্রামের বাসিন্দারা অন্য কোনো এলাকার মানুষের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ান না। তাই সভ্যতার আলো পৌঁছালেও, পেরুর এই গ্রামটি আজও দেশের অন্যান্য জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।