ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনায় মৃত্যুপুরী দিল্লি, মরদেহ দাহের জায়গা নেই শ্মশানে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২১  

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এতই বেড়েছে মরদেহ সমাহিত করার জায়গা পেতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে মৃতদের পরিবারকে।

বৃহস্পতিবারের তথ্যমতে, দিল্লিতেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ১৬৯ জন। মারা গেছেন ৩০৬ জন করোনা রোগী। সেই পরিস্থিতিতেই জনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশে বহ্নিমান গণচিতার একটি ছবি সামনে এনেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তারা জানিয়েছে, শুধু শ্মশানই নয়, রাজধানীর কবরস্থানগুলোর অবস্থাও এক। মরদেহ সমাহিত করার জায়গা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কোভিডে মৃতদের পরিবারকে।

এর আগে দেশটির গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের মতো জেলায়ও শ্মশানের বাইরে দেহ নিয়ে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে দিল্লিতে পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, শ্মশানের বাইরে লাইনেও জায়গা পাচ্ছেন না অনেকে। বাধ্য হয়ে বাড়িতেই প্রিয়জনের মরদেহ রেখে দিতে হচ্ছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিতানির্গত ধোঁয়ায় ঝাপসা হয়ে আসা চোখ মুছতে মুছতে সে কথাই বলছিলেন সীমাপুরীর বাসিন্দা নীতীশ কুমার। তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুদিন আগে তার মা মারা যান। কিন্তু কোনো শ্মশানে মায়ের দেহ দাহ করার জায়গা পাননি তিনি।

বাধ্য হয়ে দুদিন বাড়িতেই মায়ের দেহ রেখে দিয়েছিলেন নীতীশ। নিজে এদিক ওদিক চষে বেড়াচ্ছিলেন। কোথায় দাহ করা যায়, জায়গা খুঁজছিলেন। শেষমেশ একটি পার্কিং লটে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শ্মশানে মায়ের চিতায় তোলার জায়গা মেলে।

বৃহস্পতিবার সেখানেই মায়ের মরদেহের দাহ করেন তিনি। নীতীশ বলেন, কোথায় না গিয়েছি। কিন্তু কিছু না কিছু কারণে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। চিতা জ্বালানোর জন্য কাঠ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও শুনতে হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘শহিদ ভগৎ সিংহ সেবা দল’-এর প্রধান জিতেন্দ্র সিংহ শান্টি বলেন, দিল্লিতে এমন দৃশ্য দেখতে হবে কেউ ভাবেনি। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ে, কারও বয়স ৫, কারও ১৫, কারও ২৫। তাদের দাহ করতে হচ্ছে। সদ্য বিবাহিত অনেকের দেহও শ্মশানে আসছে। চোখে দেখা যাচ্ছে না।

তিনি জানান, সীমাপুরীর পার্কিং লটে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শ্মশানে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬০টি দেহ দাহ করা হয়েছে। জায়গা না পেয়ে পড়েছিল আরো ১৫টি দেহ। কিন্তু গতবছর পরিস্থিতি এতটা ভয়ংকর ছিল না। সংক্রমণ যখন সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকে, সেই সময়ও একদিনে সর্বাধিক ১৮টি দেহ দাহ করতে হয়েছে।

জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার একটি শ্মশানে ৭৮টি দেহ দাহ করা হয়েছে। জিতেন্দ্রর মা নিজে এক জন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। ১০ দিন আগে কোভিডে সংক্রমিত হন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনো হাসপাতালে জায়গা হয়নি বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। তার বক্তব্য, সরকার কিছু করছে না। নিজের পরিবারকে নিজেকেই বাঁচাতে হবে। লড়াইটা যার যার একার।