ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত তৈরি পোশাক। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে এ খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্বে লকডাউন জারি করায় দেশীয় খাতটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তবে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে খাতটি।

মহামারিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এপিসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যম।

সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী কর্মজীবীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে ভূমিকা রাখছে। কারণ সম্প্রতি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিবাচক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।

এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যা এপ্রিল, মে মাসের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক। এ সময়ে মহামারির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন ক্রেতা দেশ ও প্রতিষ্ঠান দেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল করেছিল। এতে খাতটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪০ লাখ কর্মী আর হাজারো গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট রুবানা হক এপি নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের করোনার প্রকোপ হ্রাস পেলেই বাতিল হওয়া অর্ডারগুলোর ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সচল করা সম্ভব।

তৈরি পোশাক খাতের মাধ্যমেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রফতানি আয় অর্জন করে। এ খাত থেকে দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার আয় করা হয়। এ খাতের বৃহত্তম ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।

দেশের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জুলাইতে দেশের রফতানি ০.৬ শতাংশ বাড়ায় প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হয়েছে। অথচ এপ্রিলে ৮৩ শতাংশ নামায় রফতানি ছিলো মাত্র ৫২ কোটি ডলারের গার্মেন্টস পণ্য।

মে-জুন মাসের দিকে রফতানি বাড়ে ৩৬ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে আগস্টে রফতানি বাড়ে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। রফতানি হয় প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য। জুলাই আর আগস্ট মিলিয়ে ৫৭০ কোটি ডলারের গার্মেন্টস পণ্যের শিপমেন্ট হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অনেক বেশি করোনা রোগী ধরা পড়লেও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্ত ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এতে খুব কম গার্মেন্টস কর্মী অসুস্থ হয়েছেন।

গত ২৬ মার্চ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অন্তত তিন মাস গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ থাকে। 
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বাংলাদেশ খুব ভালোভাবেই করোনাকালীন সংকট মোকাবিলা করেছে।