ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশ্বজুড়ে সোলাইমানি হত্যার প্রতিক্রিয়া

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২০  

জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিষয়ে উদ্বিগ্ন মধ্যপ্রাচ্য। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো জানিয়েছে যে, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। আবার সোলাইমানির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ইরান কোথায় এবং কিভাবে হামলা চালাবে সে সম্পর্কে কেউ জানেনা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে ইরান। 
বিশ্লেষকরা হুশিয়ারি বার্তা দিয়ে বলেছেন, সিরিয়া, লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারে ইরান। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, সোলাইমানির মৃত্যুতে ইরান যদি কোনো পাল্টা হামলা চালায় তবে তাদের দেশের শনাক্তকৃত ৫২টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র যা অনেক দ্রুত এবং কঠোর হবে।


 
শুক্রবার বাগদাদে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এছাড়া সেই একই হামলায় ইরাকের হাশদ আশ শাবি’র সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহান্দিস সহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছেন।

মার্কিনদের এই হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন বিশ্বের নেতা ও সাধারণ মানুষ। বর্তমানে ইরাক সীমান্তে চারশো এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে এক হাজারের বেশি ব্রিটিশ সেনা রয়েছে। সেখানে বাড়তি সেনা পাঠিয়ে তাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে ডাউনিং স্ট্রিট কে পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনের সামরিক প্রধানরা। কিন্তু তাদের এই প্রস্তাবকে নাকচ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইরাকে যারা ব্রিটিশ কূটনীতিকদের ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার হাত থেকে রক্ষা করবে তাদের আরো ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করার নির্দেশ দিয়েছেন জনসন।

নিহত সোলাইমানিকে একজন সন্ত্রাসী প্রধান বলে বিবেচনা করত ওয়াশিংটন এবং ব্রিটেন। ইরানের তরফ থেকে বাগদাদে ব্রিটিশ দূতাবাসের উপর হামলা চালিয়ে ব্রিটিশ নাগরিকদের হত্যা অথবা অপহরণের আশঙ্কা করছে ব্রিটেন।

এর আগে রোববার পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে দু'টি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে সেখানকার তেলবাহী জাহাজগুলোকে যাতায়াত করার সময় নিরাপত্তায় সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরান পশ্চিমা কোন জাহাজ ছিনতাই অথবা ডুবিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা। এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের দুই স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ওই অঞ্চলে আমাদের বাহিনীকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।


 
নাগরিকদের ইরাক ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডস। সোলায়মানির বিরুদ্ধে হামলার হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো। এর আগে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, আমার আশানুরূপ সহায়তা করেনি ব্রিটিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্ররা। ব্রিটেন, ফরাসী, জার্মান সবাইকে বুঝতে হবে যে ইউরোপে তাদের জীবন রক্ষার্থে আমরা কী করেছি।

ইসরায়েলি সামরিক প্রধানরা তাদের প্রতিরক্ষা জোরদার করছেন এবং এই অঞ্চলে ইরানের মাস্টার-ফিক্সার এবং ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান সোলাইমানিকে হত্যার বিষয়ে হিজবুল্লাহর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

শনিবার ইরানের প্রতি জোরদার সমর্থন জানিয়ে ক্ষুদ্ধ সুরে কঠোর প্রতিশোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন লেবাননের এক হিজবুল্লাহ নেতা। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনী কথায়ও তার হুমকি প্রতিধ্বনিত হয়েছে। খামেনী বলেছেন, তেহরান তার ব্যক্তিগত বন্ধু সোলাইমানি হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেবে।

অন্যদিকে, ইরাক থেকে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেয়া সংক্রান্ত একটি বিল ইরাকের সংসদে পাস হয়েছে। দেশটির সংসদ সদস্যরা এই প্রস্তাবে সই করেছেন। রোববার অনুষ্ঠিত ইরাকের পার্লামেন্টের বিশেষ এক অধিবেশনে ১৭০ ইরাকি আইনপ্রণেতা মার্কিন সেনাদের সরাতে নিজ সরকারের কাছে ওই প্রস্তাবের মাধ্যমে অনুরোধ জানান।