ব্রেকিং:
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

গবেষণা: মাসকারা-লিপস্টিকে আছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১  

নারীদের সাজসজ্জায় খুব বড় একটি অংশ দখল করে আছে মাসকারা-লিপস্টিক। চোখ ও ঠোঁটকে আকর্ষণীয় দেখাতে মাসকারা-লিপস্টিকের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। তবে এসব প্রসাধনী যে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে তা অনেকেরই জানা নেই।

জানলে অবাক হবেন যে, জনপ্রিয় প্রসাধনী সামগ্রী যেমন ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা, লিকুইড লিপস্টিক (লিপগ্লস) এবং ফাউন্ডেশনে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। আরও উদ্বেগের ব্যাপার হলো, পণ্যেগুলোর মোড়কে তা উল্লেখ করা থাকে না।

গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৩১টি প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষা করেছেন এবং অর্ধেকের বেশি পণ্যে ফ্লুরিনের উচ্চ মাত্রা পেয়েছেন, যা পিএফএএস নামক সম্ভাব্য বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

এই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন সায়েন্স পলিসি ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী টমাস ব্রুটন বলেন, ‘পিএফএএস ভেঙে না গিয়ে শরীরে টিকে থাকে, যা স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।’ গবেষণাপত্রটি ১৫ জুন ২০২১ তারিখে এনভায়রনমেন্টল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটারর্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

পিএফওএ এবং পিএফওএস নামক দুটি পিএএফএস রাসায়নিক বেশ কিছু ধরনের ক্যান্সার, থাইরয়েডসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ধরনের রাসায়নিক কীভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করে তা জানতে প্রসাধনী পণ্য এবং বর্জ্য পানি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন গবেষকরা।

গবেষণায় তিন চর্তুথাংশেরও বেশি ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা, প্রায় দুই তৃতীয়াংশের বেশি ফাউন্ডেশন ও লিকুইড লিপস্টিকে (লিপগ্লস) ফ্লুরিনের উচ্চ মাত্রা পাওয়া যায়, যা পিএফএএসের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

বিজ্ঞানী টমাস ব্রুটন বলেন, ‘এ ব্যাপারটি আমাদের কাছে বোধগম্য কারণ বেশ কিছু পণ্য পানিরোধী বা দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে বাজারজাত করা হয়। এগুলো এমন ধরনের বৈশিষ্ট্য যা বোঝায়, পিএফএএস ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে।’

গবেষক দলটি আরো বিশ্লেষণের জন্য উচ্চ ফ্লুরিন মাত্রার ২৯টি পণ্য বেছে নিয়েছিলেন এবং সেগুলোতে কমপক্ষে চার ধরনের পিএফএএস দেখতে পেয়েছেন। যা খুবই উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন তারা। উচ্চমাত্রার ফ্লুরিনের প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যে পিএফএএস রয়েছে বলে গবেষণায় জানা গেছে। এমনকি পণ্যগুলোতে পিএফএএস রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, তা পণ্যের মোড়কে উল্লেখ করা ছিল না।

পণ্যের মোড়কে উল্লেখ না থাকার ফলে পিএফএএস এড়ানোর ক্ষেত্রে মানুষজনের করণীয় বেশি কিছু নেই, তাই গবেষকরা এ ব্যাপারে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।

ব্রুটন বলেন, ‘আমরা যেসব প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষা করেছি, তার অর্ধেক পণ্যে উচ্চমাত্রার ফ্লুরিন ছিল না। যা বোঝায় যে, পিএফএএস ব্যবহার না করেও প্রসাধনী পণ্য তৈরি করা সম্ভব। তাই এর ব্যবহার বন্ধ করা খুব কঠিন কিছু হওয়া উচিত নয়।’