ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝুঁকি-বঞ্চনার মধ্যেও হাসি মুখে সেবা দিতে চান ডাক্তাররা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০  

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে প্রতিনিয়তই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ পর্যন্ত তিনজন চিকিৎসক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে নার্সরা আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকেও হাজির হচ্ছেন অনেকে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) মধ্যেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়তই। তবে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তারা সাধারণ ও করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যেতে চান। কারণ তারা মনে করছেন, বেঁচে থাকলে জীবনে ঈদ আসবে। কিন্তু এই সময়ে মানুষের যে দুর্ভোগ, নিজের পেশা ও কাজের প্রতি আনুগত্য ও আন্তরিকতা দেখানোর এটাই সুযোগ।

আগে বাসা থেকে কাজ করলেও এখন করোনা চিকিৎসার সাথে জড়িত চিকিৎসক নার্সরা বাসায় যেতে পারেন না। তারা টানা ১০ থেকে ১৪ দিন কাজ করে পরবর্তী ১৪ দিন নির্ধারিত হোটেল বা কোয়ান্টোইন সেন্টারে আইসোলেশনে থাকেন। যাদের করোনা সংক্রমণ ধরা পরে তাদের আলদাভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা নির্ধারিত ওই সময়ের পর আবার কাজে যোগ তেন। এভাবেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা চিকিৎসায় নিয়েজিত আছেন।

বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) হিসেব অনুযায়ী করোনায় এখন পর্যন্ত ৭৫৫ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫০৪ জন, ময়মনসিংহে ৮৮ জন, চট্টগ্রামে ৩৭ জন, খুলনায় ৩৭ জন, সিলেটে ২৪ জন, বরিশালে ১০ জন, রংপুরে ১০ জন, রাজশাহীতে এক জন। এবং অনান্য ৪৪ জন। দেড়শ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আক্রান্ত হয়েছেন। সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এন্ড রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৬৪২ জন নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৯৩ জন, ময়মনসিংহে ৫০ জন, সিলেটে ৩৩ জন, চট্টগ্রামে ১৬ জন, খুলনায় ১৩ জন, রংপুরে ১৩ জন, রাজশাহীতে ১০ জন, বরিশালে ৮ জন। বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ৪৭ জন সিএইচসিপি করোনায় আক্রান্ত ও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিডিএফের চেয়ারম্যান ডা. মো. শাহেদ রাফি পাভেল বলেন, চিকিৎসা করাতো ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছে। তবে আশার কথা এখন আক্রান্তের হার কিছুটা কমে এসেছে। সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে নানা সমস্যার পাশাপাশি চিকিৎসকদের বেতন-বোনাস নিয়ে অনেক সমস্যা আছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা বেতন ও বোনাস পেয়েছেন। তাদের সুযোগ সুবিধাও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের তুলনায় অনেক বেশি। করোনা কালীন এই সময়ে বেসরকারি হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক বেতন পাননি। বোনাস পাননি। অনেকে অর্ধেক বেতন পেয়েছে। কিন্তু তারপরও চিকিৎসকরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই ঈদেও আমরা কাজ করব। প্রতিটি চিকিৎসক চায় তার রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক হাসি মুখে। রোগীদের সুস্থ হবার মধ্য দিয়েই আমরা ঈদের খুশি উদযাপন করতে চাই।

একই কথা জানালেন সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এন্ড রাইটসের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ। জানালেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতো নার্সরাও বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এরপরও তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতেও তারা তাদের সেবা অব্যাহত রাখেবে।

বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে ও নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪৭ জন সিএইচসিপি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন দুই জন। সারাদেশে লকডাউনের ফলে গণপরিবহন বন্ধ আছে। কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে নারী সিএইচসিপিরা কর্মস্থলে এসে সেবা দিচ্ছে। সরকার ঘোষীত প্রণোদনাতে সিএইচসিপিরা আদৌ পড়বে কিনা তা আমরা জানি না। কিন্তু বৈশ্বিক এই মহামারীতে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা আমরা সিএইচসিপিরা অব্যাহত রাখতে চাই। আশা করি আমাদের নিরাপত্তা এবং দাবিগুলোও প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবেচনা করবেন