ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আগাম মৃত্যুর খবর জানায় যেসব প্রাণী!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০১৯  

মানুষ মাত্রই মরণশীল। কখন কার মৃত্যু হবে তার কথা কেউ জানে না। তবে বলা হয়, মৃত্যুর অগ্রিম খবর মানুষের আগে নাকি জীবজন্তুরা পায়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বহু সংস্কারে এই ব্যাপারে বহু বিচিত্র তথ্য সন্নিবিষ্ট রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য তুলে ধরেছেন প্যারানর্মালবাদীরা।  চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন কোন প্রাণী কিভাবে মৃত্যুর আগাম খবর জানায়-
১. একটি প্রাচীন প্রবাদে জানানো হয়েছিল, পেঁচা গান গাইলে জানতে হবে, কারোর মৃত্যু আসন্ন। পেঁচার একটি বিশেষ ডাককেই এখানে ‘গান’ বলা হয়েছে। ক্যাথলিক সন্ন্যাসীরা পেঁচাকে দীর্ঘকাল ধরে ‘ডেভিলের অ্যাসোসিয়েট’ বলে বর্ণনা করে এসেছেন।

২. কালো প্রজাপতি সম্পর্কেও একই রকমের ধারণা রয়েছে। আসলে এটি এক প্রকার মথ। রাতচরা এই কালো পতঙ্গকে অনেকেই অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন। কালো পতঙ্গের অনুষঙ্গে মৃত্যুকে দেখেছেন, এমন কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে ইউরোপের অনেক দেশের সাহিত্যেই। এমনকি আমাদের দেশে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিস্মরণীয় ছোটগল্প ‘মরণ ভোমরা’-য় একটি কালো ভ্রমর ছিল অনিবার্য মৃত্যুর অগ্রদূত।


 
৩. বাদুড়কে দক্ষিণ আমেরিকার মায়া ও আজটেক সভ্যতায় মৃত্যুর অগ্রদূত বলে মনে করা হতো। বাদুড় খুবই রহস্যময় প্রাণী। ইউরোপের সংস্কৃতিতে তার স্থান পরলোক আর ইহলোকের মাঝামাঝি একটা ধূসর এলাকায়। বাদুড় নিয়ে আমাদের দেশেও মৃত্যু-সংক্রান্ত সংস্কার কম নেই।

৪. ইউরোপে বাড়ির আশেপাশে সাদা পেঁচার উড়ানকে অনেকেই মৃত্যুর পূর্বাভাস বলে মনে করেন। এই ভাবনার পিছনে কাজ করছে উইচক্রাফ্‌ট নিয়ে ইউরোপীয়দের দীর্ধকালীন সংস্কার। সাদা পেঁচা উইচদের অ্যাসোসিয়েট হিসেবে প্রসিদ্ধ। আর উইচদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সেখানে দীর্ঘকালীন। তবে এই ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জে কে রাওলিং। হ্যারি পটারের অ্যাসোসিয়েট হেডইউগ একটি সাদা পেঁচা। আর সে কখনওই ‘অশুভ’ নয়।

৫. কালো ঘোড়াকেও মৃত্যুর অগ্রদূত মনে করে ইউরোপ। কোনো শুভযাত্রায় কেউ যদি কোনো কালো ঘোড়াকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেন, তার ঘাড়ে মৃত্যু নিঃশ্বাস ফেলছে বলে ধরতে হবে।  

৬. পশ্চিমে এমন বিশ্বাসও রয়েছে যে, কোনো মোরগ যদি কোনো মুরগির সঙ্গে কথা বলে, তাহলে নাকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে কারোর মৃত্যু ঘটবে। তবে এমন ক্ষেত্রে নাকি অবিবাহিতা নারীদের মৃত্যুর আশঙ্কাই বেশি থাকে। যদি দু’টি মুরগি একটি মোরগের সঙ্গে কথা বলে তাহলে জানতে হবে কোনো দম্পতির মৃত্যু আসন্ন। আর যদি কোনো মুরগি কোনো মোরগের ডাককে নকল করে তাহলে বুঝতে হবে, সেখানে মৃত্যু ঘোরাফেরা করছে।


 
৭. বিড়ালও আসন্ন মৃত্যুর জানায়। কেবল রোড আইল্যান্ডের অস্কার নয়, বিড়াল মাত্রই মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়। তারা নাকি মৃত্যুর গন্ধ পায়।

৮. কুকুরের আচরণেও আসন্ন মৃত্যুর প্রভাব পড়ে। তারা এমন কোনো অমঙ্গলের আঁচ পেলে কান্নার সুরে ডাকাডাকি করতে থাকে।

৯. দিনের বেলায় যদি কোনো বাড়িতে শিয়াল ঢুকে পড়ে, তবে সেই বাড়িতে কারোর মৃত্যু সুনিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন সবাই।