ব্রেকিং:
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সত্যিকারের মৎসকন্যার দেখা মেলে যে দ্বীপে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৯  

ছোটবেলায় শোনা রূপকথার গল্পগুলোর মধ্যে মৎস্যকন্যার গল্প অন্যতম। মৎস্যকন্যা শব্দটি শুনলেই কল্পনায় চলে আসে সমুদ্রের রহস্যময়ী কোনো এক সুন্দরী রমনীর চেহারা। তবে সে দেখতে অন্যান্য রমনীর মত নয়। তার মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত মানুষ এবং কোমরের নিচের অংশ দেখতে মাছের মত।

গল্প কাহিনীর এই চরিত্রটি মূলত কাল্পনিক হলেও বাস্তবেও কিন্তু রয়েছে এদের অস্তিত্ব। দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে বাস বাস্তবের এই মৎস্যকন্যাদের। তবে তারা দেখতে রূপকথার মৎস্যকন্যাদের মত নয়, সাধারণ নারীদের মত। কি ভাবছেন মৎস্যকন্যাদের মত দেখতে না হলে তারা মৎস্যকন্যা কিভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক এই প্রশ্নের উত্তরটি।

জেজু দ্বীপে বসবাসকারী নারীদের মৎস্যকন্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়। কারণ এই দ্বীপের নারীরা সমুদ্রে ডুব দিয়ে ঝিনুক ও শঙ্খ সংগ্রহ করে। তারা পানির নিচে ঘন্টার পর ঘন্টা ডুবে থেকে কাজটি করে। এজন্যই তাদের হেনিয়ো বা সাগরকন্যা নামে ডাকা হয়।

 

 

সমুদ্রে ঘন্টার পর ঘন্টা ডুবে থেকে শঙ্খ, ঝিনুক, অক্টোপাস ইত্যাদি সংগ্রহ করাটা আসলে এদের নেশা নয়। এটি তাদের পেশা। নারীরা যেসব শঙ্খ এবং ঝিনুক সমুদ্র থেকে তুলে আনে পুরুষেরা সেগুলো বাজারে বিক্রি করে। এটাই তাদের আয়ের মাধ্যম। এই আয় দিয়েই চলে এখানকার মানুষদের সংসার।

বর্তমানে এই দ্বীপে যেসব নারীরা এসব সংগ্রহ করছে তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এত বয়স হওয়া সত্ত্বেও তারা সমুদ্রের গভীরে অন্তত ৬০ ফুট গভীরে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটান। তবে অবাক করা ব্যাপার হল তারা পানির নিচে পুরোটা সময় কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডারের সহায়তা ছাড়াই কাটায়।

 

 

দীর্ঘদিনের অভ্যাসের কারণে এরা পানির গভীরে ২ মিনিটের বেশি সময় শ্বাস আটকে থাকতে পারে।

এভাবেই ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন সমুদ্রের নিচে শঙ্খ এবং ঝিনুকের খোঁজে সময় কাটান হেনিয়োরা।জীবনযাপনের জন্য কতটা কষ্ট করা লাগতে পারে তার একটি উদাহরণ এই হেনিয়োরা।

 

 

সমুদ্রের তলদেশ পাথরে ভরপুর, রুক্ষ। হঠাৎ করেই সমুদ্রে আবহাওয়া পরিবর্তন ঘটে। এসব কিছুকে উপেক্ষা করে এই কাজটি করাতে থাকে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি। তবু তাদের এই কাজটি করতে হয়।

বর্তমানে হেনিয়োদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক নারী হল আল সুরা। তার বয়স ৯৫ বছর। এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসেও তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক ডুবুরি।

 

 

সাধারণ ডুবুরিরা পানির নিচে দীর্ঘ সময় থাকার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করে। কিন্তু রূপকথার মৎস্যকন্যারা কোনো অক্সিজেন ছাড়াই থাকতে পারে পানির নিচে। আর হেনিয়োরাও পানির নিচে থাকতে অক্সিজেন ব্যবহার না করায় এদের মৎস্যকন্যা বলাটা ভুল হবেনা।