ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করছে মৌমাছি!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

খুবই ছোট্ট একটা পতঙ্গ মৌমাছি। কিন্তু জানেন কি, মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে এই ছোট্ট পতঙ্গটির রয়েছে বিশাল অবদান। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মানবজাতি টিকিয়ে রাখতে মৌমাছির অবদান কতটুকু-  
একটা পৃথিবীর কথা কল্পনা করো তো! যেখানে কোন ফলমূল নেই, কোন ফুল নেই, নেই কোন শাক-সবজি! এই পৃথিবীটা কিসের মত হবে? সেই পৃথিবীতে কি আমরা টিকে থাকতে পারবো?

মৌমাছি যদি না থাকে তাহলে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ প্রজাতির ফল, ফুল ও সবজি আর নতুন করে জন্ম নিবে না! নতুন করে জন্ম না নিলে একটা সময় পর আমরা নতুন কোন বীজ পাবো না। আর বীজ না পেলে ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে অনেক প্রজাতির গাছ বিলিন হয়ে যাবে! দেখা দেবে অক্সিজেন সংকট। পুরা ফুড চেইনের বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল।

আমাদের পৃথিবীর একতৃতীয়াংশ খাবারের যোগানে প্রত্যক্ষভাবে অবদান রয়েছে মৌমাছির। গবেষণা বলছে, পৃথিবীর সর্বশেষ মৌমাছিটি মারা যাওয়ার ঠিক তিন মাসের মধ্যে সারাবিশ্বের ফুড চেইন পুরোপুরিভাবে ভেঙ্গে পড়বে, বিশৃঙ্খল হয়ে যাবে। আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ খাবারই হাতের নাগালে পাবো না। বলা হচ্ছে, তখন অনেক দামি হিরা, জহরতের চেয়ে খাবারের দাম বেশি থাকবে। আর, একসময় আমাদের সংরক্ষণ করা খাবারও শেষ হবে! শুধুই কি খাবার? মৌমাছি না থাকলে আমরা কোনো ধরণে কটন সমৃদ্ধ জামা-কাপড়ও তৈরি করতে পারবো না। কারণ মৌমাছি না থাকলে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম কাঁচামাল তুলা কখনো উৎপন্ন হবে না। ফলে আমাদেরকে আবার আগের যুগের মানুষের মতো গাছের ছাল-বাকলকেই জামা কাপড় হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

পরিবেশের ভারসাম্য পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে যাবে, খাবারের সংকট দেখা দিবে। একসময় হয়তো আমাদের পৃথিবী আর বসবাস উপযোগী থাকবে না। মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহের মতো মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে।

পৃথিবীতে মৌমাছির এতো অবদান কীভাবে?  
পরাগায়ন সম্পর্কেতো সবারই জানা। অনেক ধরণের ফুল বা ফল হওয়ার জন্য বা ফুল থেকে ফলে পরিণত হওয়ার জন্য ফুলের পরাগরেণুকে (প্রজননের উপাদান) ফুলের গর্ভমুন্ডে এসে পড়তে হয়। পরাগরেণু গর্ভমুন্ডে আসলেই ফল, ফুল ইত্যাদি পরিপূর্ণ হয়ে গড়ে উঠে। এই প্রক্রিয়াকেই মূলত পরাগায়ন বলে।

পরাগায়ন দু-ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো স্ব-পরাগায়ন ও আরেকটি হলো পর-পরাগায়ন। দুটো নাম-দেখেই কিন্তু অনুমান করা যায় প্রক্রিয়াগুলো কেন আলাদা বা প্রক্রিয়াগুলোর কাজ কেমন।

> স্ব মানে নিজ। তাহলে স্ব-পরাগায়ন মানে যে নিজে নিজে পরাগায়ন সম্পন্ন করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকে পরাগরেণু ও গর্ভমুন্ড একই ফুলের বা একই গাছের হতে হবে। তাহলে তারা নিজেরা নিজেদের পরাগায়ন করতে পারবে। কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হবে না।

> আর পর-পরাগায়ন মানে হলো যেখানে পরাগায়ন সম্পন্ন হতে অন্যের সাহায্য লাগে। যেমন মৌমাছি, বাতাস বা অন্যান্য পোকামাকড়। এই প্রক্রিয়াতেই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। বাতাসের মাধ্যমে পরাগরেণু উড়ে গিয়ে অন্য কোন ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়লে সেখানে নতুন ফল বা ফুল উৎপন্ন হয়। কিংবা পোকামাকড় একটা ফুলের উপর বসলে ফুল থেকে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বা মুখে পরাগরেণু লেগে যায়, পরে আবার উড়ে উড়ে অন্য কোনো ফুলের উপর বসলে পরাগরেণু ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে। পড়লে সেখানে ফল বা ফুল উৎপন্ন হয়।

কিন্তু পর-পরাগায়নেতো শুধু মৌমাছির অবদান নাই, অবদান আছে বাতাস ও অন্যান্য পোকামাকড়েরও। মৌমাছির কথা কেন এত বেশি বলছি? কারণ বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়নের জন্য পরাগরেণুকে উড়ে গিয়ে গর্ভমুন্ডে পড়তে হয়। এবার ভাবোতো, বাতাসের মাধ্যমে কয়টা পরাগরেণু গর্ভমুন্ড খুঁজে পাবে?

এবার অন্যান্য পোকামাকড়। তারা সরাসরি ফুলের উপর গিয়ে বসে না। তারা লতাপাতা, ডালপালা ইত্যাদির উপরে গিয়ে বসে, ফলে তাদের দ্বারা পরাগায়ন হওয়ার পরিমাণও অনেক অনেক কম।

কিন্তু মৌমাছি কি করে?
হ্যাঁ, মৌমাছির কাজই হচ্ছে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানো। কারণ তারা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সবসময়। ফলে তারাই সবচেয়ে বেশি ফুলে ফুলে ঘোরে। তারা ফুলে ফুলে ঘুরলেই আমাদের জন্য খাবার তৈরি হয়। ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যায় পৃথিবী।