ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যবেক্ষণ কার্ড লাগিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে সিলমারার অভিযোগ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২১  

ফেনী পৌরসভায় নির্বাচনের নামে প্রশাসন তামাশা করেছে। চর দখলের মত কেন্দ্র দখলের মহোৎসবে পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল।

জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, একটি পত্রিকার নামে ২শ’র বেশি মানুষকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়। এসব কার্ডধারীরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট কারচুপি করেন। প্রশাসনের ওপর ভর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে কারচুপির নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা এ নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করছি।
ফেনী পৌর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার  বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আলাল উদ্দিন আলালের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ঠিক থাকলেও এরপর থেকে শুরু হতে থাকে কেন্দ্র দখল। বহিরাগতদের মেজবান করে খাইয়ে কেন্দ্র দখল করতে থাকে সরকার দলীয়রা।
বাহার বলেন, কোনো কেন্দ্রেই ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম পাভেলকে পিটিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রতি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট থাকলেও তাদের কারোর দেখা মেলেনি। তাদের ফোনে ফোন গেলেও তারা রিসিভ করেননি।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর আবদুল খালেক, ইয়াকুব নবী, ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মেসবাহ উদ্দির ভূঁঞা।

ফেনী পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের লোকজনের বিরুদ্ধে।
 শনিবার সকালে এজেন্ট ও কয়েকজন ভোটারদের নিয়ে কেন্দ্রে যান বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুর ইসলাম (গাজর) কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন। তাদের বাধা দেন ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম দিদারের লোকজন। এরপর বাধা উপেক্ষা করে নুর ইসলাম ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। একপর্যায়ে তেতুল গাছ তলায় তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। একই কায়দায় ডালিম প্রতীকের অপর প্রার্থী তাজুল ইসলাম পাভেলকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
নুর ইসলাম সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, বালিগাঁও, পাঁচগাছিয়া ও সিলোনীয়া থেকে ১ থেকে দেড় হাজার আওয়ামী সন্ত্রাসী জড়ো করে কেন্দ্র দখলে নেয়। সকাল থেকে দফায দফায় কেন্দ্রে বাধা হয়। কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে তিনি ও তার লোকজনকে মারধর করে বের করে দেয়া হয়।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শহীদুর রহমানের বক্তব্য জানা যায়নি।
উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আলম দিদার জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা তিনি শুনেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই বিএনপি সমর্থিত। অভ্যন্তরীন বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তার ধারনা।
এ কেন্দ্রে দায়িত্বে সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতোয়ার রহমান বলেন, হামলার ব্যাপারে পুলিশকে কেউ অভিযোগ করেননি।