ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯  

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে ১৮.৬ শতাংশে। যা বিগত দশ বছরে সবচেয়ে কম। সোমবার এই খবরটি নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন।
সচিব বলেন, সরকারের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। ২০০৯ সালে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতের নির্ধারিত লক্ষ্য শিক্ষক প্রতি ৪৬ জন শিক্ষার্থী ছিল। এখন একজন শিক্ষকের বিপরীতে ৩৬ জন শিক্ষার্থী পাঠ নিচ্ছেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১৮.৬ শতাংশে নেমেছে। বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিতির হারও দ্রুত কমে আসছে। 

আকরাম আল হাসান বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২০০৯ সালের পাশের হার ৮৮.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৮ সালের পাশের হার হয়েছে ৯৭.৫৯ শতাংশ। এ অর্জন প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এটি সরকারের সুদুরপ্রসারী চিন্তার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
 
এ সময় তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ডেইলি বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন।

সুষ্ঠুভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে সভাপতির দায়িত্ব, বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করায় জেলা প্রশাসকদের প্রশংসা করেন। 

প্রতিটি শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ সাংবিধানিক দায়িত্ব উল্লেখ করে আকরাম আল হাসান বলেন, এমডিজি অর্জন হয়েছে। এবার জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নের পালা। ২০৩০ সালের মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক, মানসম্মত ও জীবনব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। 

সরকার দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব পর্যায়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন অংশীজন ও দলমত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বাক্ষরতা কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় গতি এলে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। 

আকরাম আল হোসেন আরো বলেন, গোটা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের চলমান অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিং বাড়াতে হবে। এছাড়া, পরিদর্শনে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যাদি চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত কাজের মান উন্নয়নে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে। 

জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।