ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জুলাইয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩.৩৯ শতাংশ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২০  

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় তলানিতে নেমেছিল। জুলাই মাসে এসে রপ্তানি বাণিজ্যে ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ।

জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৯১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় হয়েছে। যা গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ২৩.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৩.৩৯ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৯১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

গত বছর জুলাই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সে হিসেবে গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় রপ্তানি হয় বেড়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৩.৩৯ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮৪ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সে হিসেবে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪.১৮ শতাংশ।

হোম ট্যাক্সটাইল খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার। লক্ষ্যক্ষমাত্রা ছিল ৮ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে রপ্তানি বেশ হয়েছে ১৬. ৪১ শতাংশ।

ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩১ কোটি ৭ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৩.৭৯ শতাংশর বেশি আয় হয়েছে। ক্যামিকেল পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার ডলার। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১.৫ শতাংশ।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার। সে হিসেবে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৬. ২২ শতাংশ।

পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার। রপ্তানি বেশি হয়েছে ৫.৪৪ শতাংশ।

কৃষি পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১০ কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ কোটি ১০ হাজার ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে রপ্তানি বেড়েছে ১২.২৮ শতাংশ।

হিমায়িত মাছ রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১১.৯৫ শতাংশ কম।

করোনা ভাইরাস মহামারির এই সময়ে চলতি অর্থবছরে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে সরকার, যা গেল অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৪ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরে মহামারির ধাক্কার পর শেষ পর্যন্ত ৪০ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পেরেছে বাংলাদেশ। সে হিসেবে এবারের লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে ৬ বিলিয়ন ডলার কম।

নতুন অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৪১ ও সেবা খাতে ৭ বিলিয়ন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করছে সরকার। বিশ্ববাণিজ্যে কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে বিগত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে পণ্য খাতের রপ্তানি আয় হ্রাস পেয়েছে। তবে জুনে তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বিশ্ব অর্থনীতি ২০২১ সালের মধ্যেই প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা বাংলাদেশে লাগতে শুরু করে গত মার্চ মাস থেকে, এপ্রিলে রপ্তানি কমে মাত্র ৫২ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল, যা ছিল রেমিটেন্সের চেয়েও কম। বিধিনিষেধ শিথিল করে কলকারখানা চালুর পর মে মাসে রপ্তানি বেড়ে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। অর্থবছরের শেষ মাস জুন মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২৭৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে গোটা ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ (৩৩.৬৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যের চেয়ে কম ২৬ শতাংশ।

গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্য ছিল ৩৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে আয় কমেছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ওভেন পোশাক থেকে আয় হয়েছে ১৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।