ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
  • শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে আর অর্থ দেবে না সরকার: অর্থমন্ত্রী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৯  

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো অর্থ দেয়া হবে না। এসব ব্যাংককে এখন থেকে নিজেদেরই আয় করতে হবে এবং সরকারকে ট্যাক্সও দিতে হবে।
রোববার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তাদের বলে দিয়েছি, এখন থেকে সরকারি ব্যাংকগুলোতে আর কোনো ধরনের রি-ফাইন্যান্সিং করা হবে না। তাদের নিজেদেরই আয় করতে হবে এবং চলতে হবে।

এই ব্যাংকগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে কর্মপরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দেন মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাদের একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। ওই কর্মপরিকল্পনার ওপর আগামী রোববার আবার তাদের নিয়ে বৈঠকে বসব। আগামী বৈঠকে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে।

অর্থ না দিলেও পরামর্শ দেয়াসহ অন্য সহযোগিতা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের যে সম্পদ আছে, তার সুষ্ঠু ব্যবহার করে অন্তত ১৫ শতাংশ লাভ করুক, এটা চায় সরকার।

এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে নুতন নিয়োগের বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, নতুন টপ ম্যানেজমেন্ট সুস্পষ্টভাবে পারদর্শী। তারা সবাই যদি অভিজ্ঞতার আলোকে ও দেশের চাহিদার নিরীখে এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংক পরিচালনা করে, তাহলে অসাধারণ কিছু প্রত্যাশা করা যায়।

ব্যাংকগুলোর মন্দ ঋণ (এনপিএল) কমানোর প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মন্দ ঋণ এখনো কমাতে পারি নাই। কারণ আমরা এক্সিটপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারি নাই। তবে শিগগির এটির সুরাহা হবে বলে আমার বিশ্বাস।

গত ২১ মে হাই কোর্টে ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধার ওপর স্থিতাবস্থা দেয়। যদিও পরে আবার নতুন ঋণ না নেয়ার শর্তে স্থিতাবস্থা তুলে নেয়।বিশ্বের সাম্প্রতিক প্রবণতা দেখে মন্দার শঙ্কা জানিয়ে তাতে বাংলাদেশের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, মন্দা তৈরি হলে বিলাসী পণ্যের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগই মৌলিক পণ্য রফতানি করে থাকি। তাই আমাদের রফতানি কমার সম্ভাবনা নেই। একইভাবে আমাদের পুঁজিবাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ আমাদের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ তেমন নেই।

বাংলাদেশে কার্যরত অর্ধ শতাধিক ব্যাংকের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছেন পাঁচটি; এর মধ্যে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী বাদে রয়েছে বেসিক ব্যাংক।