ব্রেকিং:
র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাটি কেটে নেয়ায় বিস্তৃর্ণ এলাকা অনাবাদী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২১  

প্রায় ৪ বছর আগেও ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের সাহাপুর মৌজায় ও উত্তর লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ৩ হাজার শতক জমিতে ধান উৎপাদন হতো। একটি চক্র মাটি কেটে নিয়ে গভীর করে ফেলায় এরপর থেকে চাষাবাদ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি, কৃষি বিভাগ কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।

কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাহাপুর মৌজা ও উত্তর লক্ষ্মীপুর এলাকায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) অর্থায়নে সেচ সুবিধার জন্য ভূগর্ভস্থ পানির লাইন তৈরি করা হয়। এর সুফলও পেয়ে থাকে কৃষকরা। এর কিছুদিন পর আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় একটি চক্র এস্কেভেটর দিয়ে ৫ ফুট গভীর মাটি কেটে বিক্রি করেন। এস্কেভেটর ও ট্রাক্টরের গাড়ীর চাপায় পাইপ লাইন ফেটে অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে এসব অনাবাদী হয়ে পড়লেও আনোয়ার ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন যুবলীগের জেলা কমিটির পদে থাকায় স্থানীয়দের কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করেনা। পরে বিষয়টি জেনে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মামুন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তখন পানির লাইন মেরামত করে দেয়ার কথা থাকলেও সেটি আর হয়নি।

স্থানীয় এক কৃষক জানান, অনাবাদী জায়গায় তার ৩ একর জমি রয়েছে। প্রতি ৩ শতকে ১ মণ ধান পাওয়া যেতো। আগে ১ মণ ধান ৪শ টাকায় বিক্রি হলেও এখন প্রতি মণ ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। জমি চাষ করতে না পেরে আর্থিকভাবে সংকটে রয়েছি।

মোটবী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তাদের প্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেছেন। পুনরায় সেচের ভূগর্ভস্ত লাইন নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারেননা।

মোটবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ এল এলি বি জানান, সেচ সুবিধা দেয়া হলে বিশাল জমি আবাদের আওতায় আসবে। এতে স্থানীয় কৃষকরাও স্বনির্ভরতা ফিরে পাবে।

কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার আবু নঈম মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, বিষয়টি কৃষি অফিসের একার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। তাই বিএডিসি কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত সেচ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: শহীদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানা নেই। গত কিছুদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ মুহুরী সেচ প্রকল্পের আওতায় জেলায় ৫৭টি সেচের স্কিমের কাজ শেষ করেছে। আগামীতে বরাদ্ধ পেলে এখানেও সেচ ব্যবস্থা চালুর জন্য চিঠি দেয়া হবে।