ব্রেকিং:
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়ে না

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ফেনী জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সমেশ আলীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঠিকাদারদের বিল উত্তোলনে বিভিন্ন খাতের জন্য ঘুষ/ উপরি টাকা না দিলে বিলের কাগজে স্বাক্ষর না করার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ঠিকাদারদের বেশ অভিযোগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদার জানায়, প্রতিটি টিউবওয়েলের বিল পাশের জন্য ১ হাজার টাকা, পানি পরিক্ষার জন্য প্রতিটি টিউবওয়েলের জন্য ৫শত টাকা, বোর লকের জন্য( স্তরের বালু টেস্টের জন্য) ১শত টাকা করে,  ম্যাকানিকদের নামেও প্রতিটি কল বাবদ ৩শত টাকা করে দিতে হয় আমাদেরকে। সর্বোপরি প্রতিটি টিউবওয়েলের বিল পাশের জন্য এই উপ-সহকারী সমেশ আলীকে সর্বমোট ১৯শত টাকা করে উপরি দিতে হয়।

ঠিকাদার আরো জানায়, প্রকল্পের বরাদ্দের শতকরা ৫০ ভাগ থাকে এমপি মহোদয়ের নামে এবং বাকি ৫০ ভাগ থাকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নামে।

এমপি মহোদয়ের ৫০ভাগের তালিকায়ও বিলের জন্য উপসহকারী প্রকৌশলী সমেশ আলীকেও টাকা দিতে হয়। অথচ এমপি মহোদয়ের এ তালিকায় কখনো এক টাকা বা কোন প্রকার কমিশন এমপি মহোদয়কে দিতে হয়নি কিন্তু এ তালিকার বিলের জন্য তালিকা জমা দিলে প্রতিটি টিউবওয়েলের জন্য  তাকে টাকা না দিলে বিলের ফাইল পাস হয় না।  

সদর উপজেলায় যোগদানের পর হতে এখন পর্যন্ত এমন কর্মকান্ডেই অব্যস্থ সমেশ আলী। ঠিকাদারদের দাবি, কোন প্রকার বিধিবিধানের বালাই নেই এই সমেশ আলীর কাছে। গত আগষ্ট মাসে ফেনী সদর উপজেলা হতে চাঁদপুরে বদলী হলেও কেন এক অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে সেই বদলীর নির্দেশ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ করিয়ে সে এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দাম্ভিকতা দেখিয়ে ঠিকাদারদের সামনে এমন বলতে শুনাযায়, আমাকে ঠিকাদারেরা এখনো চিনতে পারে নাই। আমার ক্ষমতা সম্পর্কে ওদের কোন ধারনাই নেই।

ভুক্তভোগী ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সমেশ আলীকে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। টাকা না দিলে ফাইল আটকে রাখা হয়। ঠিকাদারী করি বলেই আমরা সমেশ আলীর কাছে জিম্মি।

এ সকল অনিয়মের বিষয়ে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মোসলেহ উদ্দিন কার্যালয়ে না থাকায় টেলিফোনে তিনি জানান, আমার নিকট এমন কোন অভিযোগ আসেনি তবে লিখিত কোন অভিযোগ আসলে নিশ্চয়ই এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।