ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নিষ্পত্তির অপেক্ষায় যুদ্ধাপরাধের ২০ মামলা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা ২০ মামলা আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে। গত বুধবার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের শুনানি শুরু হলেও আরো ২৬ জন আসামির আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে যুদ্ধাপধের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি করে দ্রুত এসব আপিল নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ২০ মামলায় ২৬ জন আসামির আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে। এর মধ্যে আসামিদের পক্ষে ২৫টি আর সরকার পক্ষে আছে একটি। এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে গত বুধবার।

একই দিনে জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। এছাড়া, জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানের আপিল কার্যতালিকায় থাকলেও শুনানির জন্য তারিখ ধার্য হয়নি।


 
এছাড়া নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে, মোবারক হোসেন, মাহিদুর রহমান, ফোরকান মল্লিক, সিরাজ মাস্টার, খান আকরাম হোসেন, আতাউর রহমান, ওবায়দুল হক তাহের, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, মহিবুর রহমান বড় মিয়া, মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়া, মো. শামসুল হক ওরফে বদরভাই, এস এম ইউসুফ আলী, সাখাওয়াত হোসেন, মো. মোসলেম প্রধান, মো. আব্দুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদ, মো. আমির আহম্মেদ ওরফে আমির আলী, মো. জয়নুল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকির, মো. আকমল আলী তালুকদার এবং মো. ইসহাক শিকদারের আপিল আবেদন। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৮ মার্চ আপিল নিষ্পত্তি হয় যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর মামলা। মাঝখানে সাড়ে তিন বছর পার হলেও যুদ্ধাপরাধের আর কোনো আপিল শুনানি হয়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ২১(৪) ধারা অনুযায়ী আপিল দাখিল করার ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করার কথা। তবে আইনজ্ঞদের মতে, এই বিধান আপিল বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক নয় বরং নির্দেশনামূলক। আপিল বিভাগ তাদের অন্তর্নিহিত ক্ষমতায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলা শুনানি করবে।


 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, যুদ্ধাপরাধের অনেক মামলাই কার্যতালিকায় রয়েছে তবে এটা ঠিক শুনানি শুরু করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু কার্যতালিকায় আছে, অবশ্যই শুনানি হবে। কবে নাগাদ এসব মামলার শুনানি হতে পারে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের নিয়মানুযায়ীই শুনানি হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলার এসব আপিল দীর্ঘদিন ধরে শুনানি না হওয়াটা খুবই দুঃখজনক। আমরা জানি সুপ্রিমকোর্টে অনেক মামলার চাপ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট ট্রাইব্যুনালের ভিতরেই একটি বিশেষ আপিল বেঞ্চ করে দিতে পারে। এতে সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত মামলা শুনানিতেও বিঘ্ন হবে না, একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের এসব আপিলও দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সব সময়ই বলে আসছি, এই মামলাগুলো বিশেষ মামলা। একটি দেশের ইতিহাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সারা জীবন থাকবে না। এই মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই নিষ্পত্তি করতে হয়।