ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: প্রধানমন্ত্রী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সব নাগরিক স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করছে। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াই বড় অর্জন। বাংলাদেশ এভাবে এগিয়ে যাবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি।সোমবার শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মঠ, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, ঢাকা পূজামণ্ডপ ও রামকৃষ্ণ মিশনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমাদের উৎসবগুলোয় সবাই আমরা এক হয়ে উদযাপন করি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়  অর্জন, আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে শিখেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার। বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে আমরা পথ চলি।

বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির চিত্র তুলে ধরে প্রাধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে চমৎকার একটি পরিবেশ হয় যখন, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের যুব সমাজ সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। আবার যখন পূজা-পার্বণ হয়, মুসলমান সমাজের যুবকরা সেখানে উপস্থিত থাকেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। তিনি বলেন, একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে পারি। এটাই হচ্ছে সব ধর্মের মূলকথা—শান্তি, মানবতা। এই শান্তি, মানবতার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে।

সরকার প্রধান বলেন, প্রত্যেকের ধর্মকে আমরা সম্মান করি। আমরা চাই, আমাদের দেশে শান্তি বজায় থাকুক। এদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মাদক, দুর্নীতিসহ রাষ্ট্র ও সমাজ বিনষ্টকারী ঘটনা ও উপাদান যেন না থাকে, সরকার সে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এর আগে বিকেলে রামকৃষ্ণ মিশনে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকার প্রধান স্বামী পুণ্যাত্মানন্দজী মহারাজ। পরে ঢাকেশ্বরী মন্দির ও পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময়ও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।


 
এই দুই স্থানে মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সব ধর্মের মানুষ, অর্থাৎ হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সব ধর্ম এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সেই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সবসময় চেয়েছি,  প্রতিটি ধর্মের মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে, সম্মানের সঙ্গে পালন করতে পারবে। সেই পরিবেশটা সৃষ্টি করা। আমরা তা করতে পেরেছি। অন্তত এটুকু বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখনই সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

সম্প্রীতি-সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূজায় আপনারা প্রার্থনা করবেন, যেন বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে। এই যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে যার যার ধর্মপালন করার চমৎকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি, এটি যেন চিরদিন অব্যাহত থাকে। আর সবার জীবনমান যেন উন্নত হয়।

দিল্লি সফরে থাকার সময় সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ যৌথভাবে রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাস এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

জাতির পিতা নিহত হওয়ার পর দেশের মানুষ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে জাতির পিতার আর্দশ চেতনা ধারণ করে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি অসাম্প্রদায়িক চেতনায়। যেখানে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারবে। সবাই উৎসব উদযাপন করতে পারবে। সে কারণে আমরা এই স্লোগানটা নিয়ে এসেছি যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’