ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশে বাড়বে কোরিয়ান বিনিয়োগ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯  

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সফররত প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়াতে নিজ দেশের ব্যবসায়ীদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে দেশের সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, কোরিয়ান বিনিয়োগ সব সময় বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছে। দেশে বর্তমানে চমৎকার বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে কোরিয়ানরা সারা পৃথিবীতেই সেরার কাতারে। এসব খাতে যদি দেশটির কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়া যায় এবং একই সঙ্গে ব্যবসা করা যায় তাহলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক ইয়োনও বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার দেশ বাংলাদেশে অবকাঠামো, জ্বালানি এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে আরো বিনিয়োগ ও বিনিময় করতে চায়।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে লি নাকের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।  তিনি বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এটি এখন আরো বাড়িয়ে নেয়ার সময় এসেছে। বিভিন্ন কারণেই কোরিয়ার কাছে বাংলাদেশ এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। তাদের আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরো বেশি চাঙ্গা করে তুলতে হবে।

এ সময় দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এই সফরের মধ্যেই বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দুই দেশকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। 

রোববার দুপুরে এফবিসিসিআই এবং কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’ অনুষ্ঠানে লি নাক ইয়োন বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ সময় তিনি, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে গেছে। বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ব্যবসা পরিচালনা সহজ করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে এফবিসিসিআই সভাপতি কয়েকটি সম্ভাবনাময় কাজের ক্ষেত্র তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-

১. ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল, টেলিযোগাযোগ, জাহাজ নির্মাণ, রাসায়নিক ও স্টিল শিল্পে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহায়তা।
২. হালকা, মাঝারি ও ভারি শিল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন।
৩. তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নীতকরণের এ লগ্নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময়।
৪. শিল্প, উৎপাদন এবং সেবাখাতে প্রকৌশল ও কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী তৈরিতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ।
৫. বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত ও কলা শাখার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময়।
৬. সমূদ্র অর্থনীতির বিকাশে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ।

অনুষ্ঠানে কেআইটিএ’র চেয়ারম্যান মি. ইয়াং জু কিমও ফোরামে বক্তব্য রাখেন। এরপর বাংলাদেশ ও কেআইটিএ (কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং কেআইটিএ’র চেয়ারম্যান মি. ইয়াং জু কিম এ স্মারকে সই করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৯৩.৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানি করে এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৯৮১.২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে।