ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

লক্ষ্মীপুরে ঘর পাচ্ছেন ৩১০ ভূমিহীন পরিবার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২১  

অসহায়, ঘর ও জমিহীন মানুষের জন্য সরকারের মুজিববর্ষের অঙ্গিকার বাস্তবায়নে গড়ে উঠেছে স্বপ্নের রঙে আঁকা একতলা সেমিপাকা ঘরগুলি। লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় সরকারের খাস জমিতে জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনায় নির্মিত হচ্ছে ৩১০টি বসতঘর। এসব ঘরগুলি হবে ভূমিহীন মানুষের জন্য একেকটি স্থায়ী ঠিকানা। আর ক’দিন পরেই শিশুদের কোলাহলে মুখরিত থাকবে লাল এবং সবুজ টিনের সারি সারি ঘরগুলি।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, চররুহিতা ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রথম ধাপে নির্মিত হচ্ছে ৬৫টি সেমি পাকা ঘর। আগামি ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের গৃহহীনদের মাঝে এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। সেজন্য ঘর নির্মাণ নিয়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসব ঘর বুঝিয়ে দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলেই ব্যস্ত সময় পার করছেন।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গৃহনির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। শনিবার তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে গৃহ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। তিনি নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভুঁইয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর মো: মামুনুর রশীদ ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মোশারেফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও লক্ষ্মীপুর সদরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম প্রতিদিন সকাল-বিকাল দুই বেলা নির্মানাধীন ঘর সমূহ পরিদর্শন করেন। প্রত্যেক পরিবারের নামে ২শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রী করণ, খতিয়ান প্রস্তুত ও নামজারী করাসহ ভুমির কাগজপত্র প্রস্তুত করতে ভূমি অফিসেও চলছে মহা ব্যস্ততা। সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মামুনুর রশীদ ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সারাদেশের মতো লক্ষ্মীপুর  জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসনের জন্য নির্মিত হবে  ২০৩৬টি সেমিপাকা বসত ঘর। তম্মোধ্যে প্রথম ধাপে বসত ঘর পাচ্ছে ৩১০ টি গৃহহীন ভূমিহীন পরিবার। পরের ধাপে ২য় পর্যায়ে ১৭২৬ পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে।

উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এ বরাদ্দ দিয়েই গৃহহীনদের জন্য ২০ ফুট বাই ২২ ফুট প্রস্থের ঘরে রয়েছে দু’টি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৬৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বুঝিয়ে দেবার জন্য উন্নতমানের গৃহনির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারে ঘরগুলি তৈরী করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এজন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি বিরতিহীন কাজ চলছে।  এরপর উপকারভোগীদের জমিসহ এসব ঘর হস্থান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, প্রথম ধাপে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নে ৫জন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে ১২জন, মান্দারী ইউনিয়নে ১২জন, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ২৩ জন ও চররূহিতা ইউনিয়নে ১৩জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ২শতাংশ জমিসহ এসব ঘর পাবেন।