ব্রেকিং:
নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
  • রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাসে ৩০ কোটি টাকার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২  

সরকারি নির্দেশনায় দীর্ঘ দিন ধরে বাসা-বাড়িতে নতুন করে পাইপ লাইনের গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযান চালিয়ে বাসা-বাড়ি ও কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ফলে বাধ্য হয়েই গ্রাহকরা এখন তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। এতে করে বাড়ছে এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতি মাসে প্রায় ২ লাখ পিস এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার গ্রাহককে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অবৈধভাবে আরও কয়েক হাজার গ্রাহক বাখারাবাদের গ্যাস ব্যবহার করছেন। তবে এসব অবৈধ সংযোগগুলো প্রায়ই অভিযান চালিয়ে বিচ্ছিন্ন করছে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘ দিন ধরে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় এবং অবৈধভাবে নেওয়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের ফলে গ্রাহকরা এখন এলপিজির দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে শহরের বাসা-বাড়িতে লাকড়ি বা স্টোভে রান্না করায় সমস্যা হওয়ায় এলপিজি সিলিন্ডারই এখন ভরসা। এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁতেও ব্যবহার হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার।

Dhaka post

এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় ১৫-১৭টি কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয়। প্রত্যেকটি কেম্পানির একাধিক পরিবেশক আছে। পাইকারি ও খুচরা মিলিয়ে জেলায় এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসায়ী আছেন প্রায় ১ হাজার। মূলত বাসাবাড়িতে ১২ ও ১৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয়। আর ৩০ কেজি ও এর অধিক ওজনের সিলিন্ডারগুলো ব্যবহার করা হয় হোটেল-রেস্তোরাঁতে।

জেলা শহরের হালদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজনীন জাহান জানান, পাইপ লাইনের গ্যাসের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সংযোগ না পাওয়ায় এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। প্রতি মাসে তার ১২ কেজি ওজনের একটি সিলিন্ডার লাগে।

শহরের কাউতলি এলাকার এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসায়ী মজিবুল ইসলাম জানান, শহরে নতুন নতুন ভবন হওয়ার কারণে সিলিন্ডারের চাহিদা বাড়ছে। মানুষ এখন এলপিজি সিলিন্ডারের দিকে ঝুঁকছে। এতে করে দোকানে বেচাকেনাও বেড়েছে।

Dhaka post

জেলার আখাউড়া উপজেলার ‘মা বাবার দোয়া ভ্যারাইটিজ স্টোর’র স্বত্বাধিকারী কামরুল খাদেম জানান, আখাউড়ায় পাইপ লাইনের গ্যাস না থাকার কারণে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবসা এখন চাঙা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করেন। প্রতি মাসে প্রায় দেড়শ পিস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারেন এবং মাসে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।

জেলা শহরের কুমারশীল মোড় এলাকার ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুয়েল কর্ণার’র স্বত্বাধিকারী সুব্রত সাহা জানান, জেলায় প্রতিদিন ৬-৭ হাজার পিস এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা আছে। তার দোকানে প্রতিদিন ৫০-৬০ পিস সিলিন্ডার বিক্রি হয়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ যদি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা যায়, তাহলে এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

সেনা এলপিজি সিলিন্ডারের পরিবেশক রিফাত বিন জিয়া বলেন, ‘প্রতিটি কোম্পানির একাধিক পরিবেশক আছে। আবার পরিবেশকদের অধীনে কয়েকজন করে বিক্রেতা আছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২ লাখ পিস এলপিজি সিলিন্ডার বেচাকেনা হয়। এর বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। দিন দিন এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা বাড়ছে।’

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক আক্তারুজ্জামান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ‘অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারীর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমরা যেখানেই অবৈধ পাইপ লাইনে গ্যাস ব্যবহারের খবর পাচ্ছি, সেখানেই অভিযান চালাচ্ছি।’