ব্রেকিং:
দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাবাকে শেষ গোসলে রেখে পরীক্ষায় বসল জ্যোতি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

সন্তানের সবচেয়ে বড় ছায়া বাবা। সেই বাবাই অকালে চলে গেলেন। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। চলছে বাবার শেষ গোসলের প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় বাবার একমাত্র মেয়ে জ্যোতি আক্তারকে কচি বয়সে দিতে হলো কঠিন এক অগ্নিপরীক্ষা। বাবার কথা ঠিক রাখতে বাবা হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে বসতে হলো প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়। 

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যখন দোটানা চলছিল ঠিক সেই মুহূর্তে জ্যোতির মনে হলো বাবার অতীতের কিছু কথা। তার বাবা তাকে বলেছিলেন, ‘লেখাপড়া করে অনেক বড় হতে হবে’। অবশেষে বাবার কথা রাখতেই বাবাকে শেষ গোসলে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছুটে আসে জ্যোতি। কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দেয় পরীক্ষা। ততক্ষণে জানাজা আর দাফন শেষ তার বাবার। শেষ গোসলের পর বাবার মুখখানি শেষবারের মতো দেখতে পেল না। 

হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব মধ্যেপাড়া এলাকায়। 

স্থানীয়রা জানান, হাটাব মধ্যেপাড়া এলাকার হারেজ মিয়ার ছেলে জামান মিয়ার হঠাৎ শ্বাসনালীতে ছিদ্র ধরা পড়ে। কয়েকদিন ধরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। রোববার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সোমবার বেলা ১১টায় তার জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়।

দুই ছেলে ও একমাত্র মেয়ের মধ্যে জামান মিয়ার সবচেয়ে আদরের সন্তান ছিল তার মেয়ে জ্যোতি আক্তার। তিনি বলতেন আমার ঘরে বেহেশত এসেছে। মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত বানানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। জ্যোতিকে বলতেন‘ মা তোমাকে পড়ালেখা করে অনেক বড় হতে হবে’। হাটাব দক্ষিণ বাড়ৈ শিশু নিকেতন ব্র্যাক স্কুল থেকে এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। জ্যোতি সোমবার বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা দেয়। 

পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা কেন্দ্র কাঞ্চন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল সুপার ও শিক্ষকরা তার এ সাহসী সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে জ্যোতি জানায়, তার বাবা তাকে অনেক ভালোবাসতো। তার বাবা চাইতো সে যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হয়। এখন চূড়ান্ত এ পরীক্ষা না দিলে তার বাবার আত্মা হয়তো কষ্ট পেত। এ কারণে নিজেকে কষ্ট দিয়ে বাবাকে বিদায় না দিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে সে।

এ ব্যাপারে ইউএনও মমতাজ বেগম বলেন, শিশুটির বাবা এমন সময় মারা গেছেন সেটা খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও শিশুটি বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমরা তার পরীক্ষার সময় যতটা সহযোগিতার দরকার করেছি। হল সুপার পুরো সময় শিশুটির পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।