ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
  • বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন অভিযুক্তকে আটক ......

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯  

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী জহির ইসলামকে আটক করে ছেড়ে দিলো পুলিশ।শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার মহামায়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে দিনভর চলে নানা তদবির।একপর্যায় থানায় বসে শালিশ বৈঠক করে রাতে ছেড়ে দেয়া হয় জহিরকে।সে একই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গরীবুল্লাহ শাহ হোসেন বাদশাহ এর শেলক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের একজন মাঠকর্মী।

ভুক্তভোগীর মা মামলার অভিযোগে জানান,উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর সতর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে জহির ইসলামের সাথে এক বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে দেয়।কিন্তু বিয়ের পর থেকেই জহির বিভিন্ন অজুহাতে তার মেয়ের উপর চালাতো অমানবিক নির্যাতন। এ নিয়ে একাধিকবার ঘরোয়া ভাবে মিমাংসা হলেও কিছু মানতে চায় না জামাই জহিরসহ বাবা,মা। এরইমধ্যেই গৃহবধূটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।তাই মেয়ের শুশুর পক্ষের লোকজন অনুমতি না ছাড়া বাচ্চা কেন নিয়েছে বলে মেয়ের উপর আরো নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

একপর্যায়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক জানান অধিক নির্যাতনের ফলে পেটেই তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে এবং ডি এন জি করে মৃত বাচ্চা প্রসব করা হয়। এরপর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরলে কিছুদিন যেতেই ফের নতুন অজুহাত ধরে চাকরীস্থল থেকে বিদেশে ট্রেনিং যেতে টাকা লাগবে।এই টাকার জন্য আবারো মেয়ের জামাই জহির ইসলাম,শশুর জয়নাল আবেদিন সহ শাশড়ি মিলে মেয়েকে বেধড়ক মারধর করলে তারা থানায় অভিযোগ দেয়। পরে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার গভীর রাতে জহির ইসলামকে অাটক করে।

কিন্তু তাকে আটকের পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে বৈঠকে মাধ্যমে সমাধানের জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে মেয়ের পরিবারকে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেলে থানায় আসেন মহামায়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গরীবুল্লাহশাহ,একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন মাস্টার,ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আলম মজুমদার, ছাগলনাইয়া পৌরসভার কমিশনার হাবিবুর রহমান,শিমুল চৌধুরী,উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দিদার সহ একাধিক ব্যাক্তি শালিশে বসে।
এসময় বৈঠকে আসামীকে ছেড়ে দেয়াসহ আগামী ২৩ নভেম্বর পূনরায় বসার সিদ্ধান্ত হয়।সে মোতাবেক রাতেই আসামীকে ছাড়িয়ে নেয়ে যায় তাদের লোকজন।

এব্যাপারে ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,মেয়েটির পরিবার নির্যাতনের অভিযোগ দিলে শুক্রবার রাতে জহির ইসলাম নামে একজন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করি। পরে শনিবার রাতে বৈঠকে সিদ্ধান্তক্রমে তাকে আগামী ২৩ নভেম্বর পূনরায় বসার সিদ্ধান্ত হয়।