ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
  • বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারি এতিমখানা থেকে পুলিশে চাকরি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯  

নেত্রকোনা সরকারি শিশু পরিবারে থেকে বড় হয়েছেন। স্বপ্ন ছিল তবে শঙ্কাও ছিল। টাকা ছাড়া কি সরকারি চাকরি হয়? এমন কথা শুনতে হয়েছে অনেকবার। নিজেদের জীবন থেকেই ওসব কথা ভুল প্রমাণ পেলেন তিন এতিম।

কোনো প্রকারের উৎকোচ ছাড়া বিনা টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন নেত্রকোনা সরকারি শিশু পরিবারের তিন সদস্য।  তারা হলেন- মো. আব্দুল মান্নান, মো. সাদেকুল রহমান ও মো. লিংকন মিয়া। মান্নান নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ছবিলা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে, সাদেকুল সদর উপজেলার পূর্ব মেদনী গ্রামের মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে ও লিংকন আটপাড়া উপজেলার বাউসা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

১৯৭৩ সালে সরকারি এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনজনের পুলিশে চাকরি হলো।  এ খবর নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে পুরো শিশু পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।

সরকারি শিশু (বালক) পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক তারেক হোসেন জানান, উৎকোচ ছাড়া শিশু পরিবারের তিন সদস্য চাকরি পাওয়ায় উপকৃত হয়েছেন তারা। ধসে যাওয়া তিনটি পরিবার আবার নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে পারবে। তাছাড়া শিশু পরিবারের সুনাম অর্জন হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তারা গর্ববোধ করছেন। স্বচ্ছভাবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ তথা জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-তত্ত্বাবধায়ক তারেক।

কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া শিশু পরিবারের সদস্য লিংকন, মান্নান ও সাদেকুল জানান, চাকরি পেয়ে তারা খুব আনন্দিত। এরই মধ্যে পুরনো দিনের দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে তারা।

ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরি জীবনে নিজেদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের সেবাদানে বদ্ধপরিকর থাকবে বলেও জানান পুলিশের নতুন এই সদস্যরা।

এসপি জয়দেব চৌধুরী বলেন, শিশু পরিবারের তিন সদস্য নিজেদের মেধা ও যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।শিশু পরিবারের সদস্য ছাড়াও বাকি ৭২ জনকে স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকরি দেয়া হয়েছে। 

এবারের নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০, পুলিশ কোটায় তিন, নারী কোটায় ১৭ জন ও বিভিন্ন পর্যায় থেকে ৪৫ জনকে নেয়া হয়েছে।