ব্রেকিং:
দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নেই খেলার সরঞ্জাম, আছে ক্যাসিনো!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

যে কোনো খেলার আতুর ঘর বলা হয় ক্লাবকে। খেলোয়াড় তৈরি, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সেই খেলোয়াড়কে বড় মঞ্চে তুলে আনা সবকিছুর শুরু হয় একটি ক্লাব থেকে।

অথচ বাংলাদেশের ক্লাবগুলো মান সম্পন্ন খেলোয়াড় তুলে আনা তো দূরের কথা, ঠিকমতো খেলা চালাতেই হিমশিম খায়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের বদলে জীর্ণ ও ভগ্নদশায় চলছে ক্লাবগুলো, নেই কোনো জৌলুস। 

সম্প্রতি পরিচালিত অভিযানে যেনো এর পেছনের কারণটিই বেরিয়ে এসেছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ক্লাবগুলোতে খেলার সরঞ্জামের পরিবর্তে আছে ক্যাসিনোর বোর্ড! যেখানে থাকার কথা ক্রিকেটের ব্যাট-বল, ফুটবল, হকির মতো অবকাঠামো। সেখানে গড়ে উঠেছে মাদক আর জুয়ার উৎসাহব্যাঞ্জক ক্যাসিনো। এর থেকে আসা টাকা দিয়ে পেট ভরছে বড় কর্তাদের। কিন্তু ক্লাবের কোনো লাভে আসেছে এই টাকা। উল্টো বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম আর দুর্নীতির আখরায় পরিণত হয়েছে এক একটি ক্লাব।

 

 

একসময় দেশের প্রতিটা ইভেন্টে ক্লাবগুলোর প্রতিযোগিতায় মুখরিত ছিল ক্রীড়াঙ্গন। ক্রিকেটের আগে ফুটবল, হকি সহ নানা খেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ ছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। সকাল বিকাল ক্লাবগুলোতে চলতো অনুশীলন। 

কিন্তু সে দিন পাল্টে গিয়েছে আগেই। এখন মাঠের বদলে মাঠের বাইরের চাল নিয়েই বেশি ব্যস্ত ক্লাব কর্তারা। প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ানোর জন্য অন্যপথে পা বাড়াতে আগ্রহী সবাই। আর তারই ফলস্বরূপ ক্লাবগুলোর ভেতর ঢুকে পড়েছে ক্যাসিনো নামের অভিশাপ।  

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পরেই মূলত বেরিয়ে আসে পেছনের এ কালো জগতের কথা। কলাবাগান ক্লাবের পর ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাব থেকেও পাওয়া যায় ক্যাসিনোর আলামত। অথচ ক্যাসিনোর বদলে সেখানে ক্রীড়া সরঞ্জামাদি দিয়ে ভরপুর থাকার কথা ছিল। এ থেকেই দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে ক্লাবগুলোর দৈন্যতার কারণ বোঝা যায়। 

 

 

ক্যাসিনোতে নিয়মিত বসে জুয়ার আড্ডা। চলে টাকার খেলা। এসবে ব্যস্ত সময় পার করেন ক্লাব কর্তারা। ফলে কোথায় কি করলে ক্লাবের উন্নতি হবে, কিভাবে আরো ভালো খেলোয়াড় তৈরি করা যাবে এসব চিন্তার বদলে ঠাঁই পায় জুয়ার বোর্ড থেকে কিভাবে আয় বাড়ানো যায়। 

ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোর বদলে কিভাবে খেলার সরঞ্জাম বাড়ানো যায়, দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি সহ কি করে খেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানো যায় সে দিকেই নজর দিতে হবে। 

খেলার মান কিভাবে বাড়ানো যায় এজন্য চিন্তা করার এখনই উপযুক্ত সময়। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ক্যাসিনো নামক কালো থাবার হাত থেকে মুক্ত করে ঢেলে সাজানো সময়ের দাবি। 

কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে?