ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
  • বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সরোয়ার জাহান বাবুলকে ফিরে পেতে ৯ বছর প্রতিক্ষায় মা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২০  

'বলেছি বাপ আজকে তুই যাইস না, কয়েক দিন পরে যা। মা আমার জন্য দোয়া করো বলে ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেই যাওয়া শেষ যাওয়া ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি'-কথাগুলো বলতে বলতে অঝরে কাঁদতে থাকেন যুবলীগ নেতা সারোয়ার জাহান বাবুলের মা বদরুন্নেছা। প্রায় ৯ বছর আগে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে নিখোঁজ হন সোনাগাজীর জনপ্রিয়  নেতা বাবুল।

সরোয়ার জাহান বাবুল সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্রাফিল মিয়া ও বদরুন্নেছা দম্পতির ছেলে। ৯ সন্তানের মধ্যে বাবুল অষ্টম। পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাবুল সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের যুবলীগের সভাপতি  প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তার ছোট ভাই ফয়সাল জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বাবুলের মা। কান্না থামিয়ে আবার বলতে লাগলেন, 'বিচার কাকে দেবো? কে বিচার করবে? আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমার ছেলে গুম হয়ে যাবে সেটা কখনও ভাবতে পারিনি। আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তার বিচার করতে পারত; কিন্তু সেটা না করে কেন গুম করে ফেল্লো?'

তিনি বলেন, 'আমার তো প্রতিক্ষার প্রহর শেষ হয় না, তার লাশটা পেলে মনকে বোঝাতে পারতাম আমার ছেলে মারা গেছে।' ছেলেকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিনতি জানান তিনি।

বাবুলের ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মানিক বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে দায়ের মামলায় আগাম জামিন নিতে ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা যান। রাতে অবস্থানের জন্য ফকিরাপুল এলাকায় হোটেল আসরে রুম ভাড়া নেন তারা। ওইদিন সন্ধ্যার একটু পর হোটেল থেকে নেমে নাস্তা করার জন্য দোকানে যাওয়ার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রধারী চার-পাঁচ ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়। জীবিত হোক মৃত হোক ভাইকে ফেরত চাই।