ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি নেতাদের ফোন আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০  

দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন, ঠিক তেমনি এই একই সময়ে নিজেদের খোরাক গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি নেতারা।

মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। ফলে এসব ব্যবসায়ীরা এখন বিএনপির নেতৃবৃন্দদের এড়িয়ে চলা শুরু করেছেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দের টেলিফোন ধরতেও তারা এখন ইতস্তত বোধ করছেন। 

একাধিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্মহীন অসহায়দের ত্রাণ দেয়ার অজুহাতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ একাধিক সিনিয়র নেতা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা ও সহায়তা দাবি করছেন। যা তাদের কাছে ভীষণভাবে বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর। কেননা এই পরিস্থিতিতে তারা তাদের নিজ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কর্মীদের বেতন দিতে পারছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমনই এক ব্যবসায়ী বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব খাতই আজ হুমকির মুখে।এই পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কীভাবে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যাবে এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সব প্রতিষ্ঠান মালিকদের কপালে। এর মধ্যে বিএনপির নেতৃবৃন্দের টেলিফোন ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংকটের পর থেকেই একটি বড় সংখ্যক মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সরকার দরিদ্রদের করোনা সংকট থাকাকালীন সময় পর্যন্ত সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে এবং সেভাবেই কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

অন্যদিকে বিএনপির একমাত্র রুহুল কবির রিজভীকে ঢাকা শহরের কিছু কিছু জায়গায় ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে। তাছাড়া আর কাউকেই মাঠে দেখা যায়নি। বিএনপি ত্রাণ বিতরণের আগেই যেভাবে চাঁদা দাবি করছে তাতে আমরা নতুন আতঙ্কে দিন পার করছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, কিছুদিন আগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ফোন করেছিলেন। কিন্তু আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি।

তিনি বলেন, অসহায়দের পাশে যদি দাঁড়াতেই হয় তাহলে সেটা ভালো কথা, কিন্তু আমাদের টাকা দিয়ে কেন? আমরা যদি টাকা খরচ করি তাহলে সেটা আমরা সরাসরি করতে পারি এবং করছি। বিএনপিকে টাকা দিয়ে আমাদের ত্রাণ সহায়তা কেন করতে হবে?

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করা বিএনপির অনেক নেতাই ধনাঢ্য এবং বিপুল সম্পদের মালিক। কিন্তু তারপরেও করোনা সংকটের সময় নিজের পকেট থেকে টাকাও না বের করে অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে চায় যা আমাদের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর।