ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চাঁদাবাজির কারণে বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলেন ২ নেতা!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯  

যোগ্যতার অবমূল্যায়ন, রাজনীতির নামে শোষণ ও চাঁদাবাজিতে বিরক্ত হয়ে বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার পোদ্দার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যানের অফিসে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন বিএনপির এই নেতারা। তবে দুর্দিনে দলত্যাগ করায় স্থানীয় পর্যায়ে সমালোচনারও শিকার হচ্ছেন বিএনপির এই দুই নেতা। যদিও বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টির সাথে রাজনীতি করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন আবদুস সাত্তার পোদ্দার ও সাখাওয়াত হোসেন।

হঠাৎ বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার পোদ্দার বলেন, বিশ বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দলের জন্য অনেক কিছু করেছি। নিয়মিত চাঁদা দিয়েছি। মিছিল-মিটিং করেছি, জেল-জুলুম সহ্য করেছি। কিন্তু যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন পাইনি। সর্বশেষ কমিটিতে সভাপতি হওয়ার যোগ্য সত্ত্বেও টাকার কাছে হেরে গেলাম। কেন্দ্রে টাকা পাঠিয়ে আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, সান্ত্বনা পুরষ্কার হিসেবে আমাকে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদ দেয়া হলো। যা আমার জন্য অপমানজনক। মেধা, শ্রম ও যোগ্যতার বিচারে আমাকে ঠকিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। এছাড়া দলের কোন কার্যক্রম নেই উপজেলায়। পুরো কুমিল্লা জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে যেন মরচে পড়েছে। তাই আমি বিএনপি ছেড়ে দিয়েছি। এখন জাতীয় পার্টি রাজনীতি করে জনগণের সেবা করতে চাই।

এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি রাবেয়া চৌধুরী জানান, শুনেছি- আবদুস সাত্তার ও সাখাওয়াত হোসেন বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন। আসলে এই দুজন সুবিধাবাদী নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকায় সিন্ডিকেট গড়ে নিত্য নতুন ফন্দিতে অর্থ উপার্জন করাই তাদের পেশা। ইদানীং তাদের বাটপারি প্রচার হওয়ায় তারা দল ছেড়ে নতুন দলে ভিড়েছেন। এরা যেকোন রাজনৈতিক দলের জন্য বিষাক্ত কীট স্বরূপ। এদের কারণে বিএনপির রাজনীতি আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।