ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া? কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? সরাসরি মুসলিমদের নিশানা বানিয়ে ভোটের প্রচারে মোদি দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
  • বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নবম শ্রেণি পাস করে ডিবির সহকারী কমিশনার, প্রেমের ফাঁদে ৯ তরুণী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২০  

ডিবির সহকারী কমিশনার হিসেবে পরিচিত মোবাইল ফোন মেরামত ও বিক্রির দোকানদার মোহাম্মদ হাসান। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও লোকজন তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বলে জানেন। 

আর এমন মিথ্যা পরিচয়েই সে ফেসবুকে ঢাকার কলেজপড়ুয়া এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তরঙ্গ হয়ে মেয়েটির আপত্তিকর কিছু ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে। এরপর শুরু হয় তার প্রতারণা।

একসময় প্রেম-বিয়ের গল্প বাদ দিয়ে তরুণীর কাছে এক লাখ টাকা চান হাসান। আর টাকা না দিলে ছবি-ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। ভয়ে তরুণী কয়েক দফায় তাকে ১৪ হাজার টাকা দেন। তবে লাখ টাকা দেয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। মেয়েটির বাবার মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর নানা কৌশলে হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদে সে তরুণীকে জিম্মি করে অর্থ দাবির কথা স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, তার মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে আরো আট তরুণীর অর্ধশতাধিক আপত্তিকর ছবি-ভিডিও। তাদেরও একই কায়দায় ফাঁদে ফেলা হয়।

শ্যামপুর থানার এসআই আমিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার শিকার তরুণী পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী। ফেসবুকে 'প্রিন্স খান' নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই আইডিটি প্রকৃতপক্ষে হাসানের। সে আগে ঢাকার সাভারে থাকত। কখনো গেঞ্জি বিক্রি, কখনো ওষুধের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। লকডাউনে বেকার হয়ে সে তার গ্রামের বাড়ি দুলারহাটে চলে যায়। সেখানকার বাজারে মোবাইল ফোনের দোকান দিয়ে বসে। 

তবে এসবের আড়ালে সে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের সঙ্গে মিথ্যা পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে প্রতারণা করে আসছিল। সর্বশেষ ঘটনায় প্রথমে শ্যামপুর থানায় একটি জিডি করেন মেয়েটির বাবা। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে এটি আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ২৭ অক্টোবর পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা নেয়া হয়।

তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা জানান, ভোলা থেকে ৩০ অক্টোবর বিকেলে তাকে আটক করা হয়। এরপর দেখা দেয় আরেক সমস্যা। হাসানের পরিবার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে ছাড়িয়ে নিতে নানামুখী চাপ আসতে থাকে। পরদিন সকালে এ বিষয়ে নিষ্পত্তির কথা বলে গভীর রাত পর্যন্ত হাসানের লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।

এরপর ভোর ৪টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে থাকার সময় হাসানকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় শ্যামপুর থানা পুলিশের টিম। ঢাকাতেও তাকে ছাড়ানোর জন্য অনেক তদবির চলে। তবে শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলমের নির্দেশনায় গ্রেফতার অভিযানসহ সবকিছু ঠিকঠাক সামাল দেয় পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হাসান সাভারে থাকার সময় স্থানীয় কিছু পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এর সুবাদে সে পুলিশের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ও পদমর্যাদার ব্যাপারে বেশ কিছু ব্যাপার জানতে পারে। তাই তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার সময় সে নিজেকে ডিবি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতো। 

গ্রেফতারের সময় তার দুটি মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়। সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। তবে তার মোবাইল ফোনের ফটো গ্যালারির ৮৫ ভাগ অংশজুড়ে বিভিন্ন মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছিল। হাসান ভিডিওকলে কথা বলার সময় তার ফোনে থাকা স্ট্ক্রিন রেকর্ডার অ্যাপ দিয়ে তরুণীদের নগ্ন ভিডিও রেকর্ড করে রাখতো।