সামরিক শাসনামলে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সামরিক শাসনামলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে। গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ব্যাচলেট চার দিনের সফরে রবিবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ’৭৫ সালের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁরা তখন বিদেশে ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সেনাসমর্থিত সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। জোরপূর্বক নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই অধ্যাদেশের কারণে তাঁদের বিচার চাইতে বাধা দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিল।
দুবার চিলির প্রেসিডেন্ট থাকা ব্যাচলেট বলেন, তাঁর পরিবারকেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। যখন তাঁর দেশে একটি অত্যাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে ‘গভীরভাবে আলোড়িত’ হয়েছেন, যেখানে জাতির পিতাকে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বৈঠকে তাঁরা বর্তমান বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে চলমান কভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে সংকট তৈরি করেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক তা মিয়ানমার অস্বীকার করে না। তবে তারা এখনো তাদের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সাড়া দেয়নি। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনো কারও সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই চুক্তির পর ৬২ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ফিরেছে এবং ১ হাজার ৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার আত্মসমর্পণ করেছে। ব্যাচলেট কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য তাঁরা সেই সুযোগের ব্যবস্থা করতে পারেন। জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘ আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে এবং এ লক্ষ্যে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন এবং যোগ করেন যে বাংলাদেশ কাউকে সন্ত্রাসবাদের জন্য তার মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে কৃষির ওপর জোর দিচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ১ দশমিক ৮৭ লাখের বেশি পরিবার বিনামূল্যে বাড়ি পেয়েছে। কারণ সরকার প্রতিটি গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।
ব্যাচলেট বৈষম্য দূর করার জন্য বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়নের ওপর জোর দিয়েছে। কারণ তারা (স্থানীয়রা) জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন।
- ফেনীতে কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণ নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ
- সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু
- সোনাগাজীতে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন ননদ-ভাবি
- নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কিডনি চিকিৎসায় উপকূলে নবদিগন্ত
- যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে গলা চেপে হত্যার অভিযোগ
- ওবায়দুল কাদের-একরাম চৌধুরীর নোয়াখালীর বিরোধ: যেখান থেকে শুরু
- সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা, প্রভাবশালীদের প্রভাবে ক্ষতি ফসলি
- ভবনের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
- নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার
- যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কমেছে পোশাক রফতানি
- এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, জানবেন যেভাবে
- অনলাইনে ভোগান্তি, হাতে হাতে নেয়া হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের ফি
- লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বসতঘর ও ফসলী
- প্রবাসীদের এনআইডি করতে লাগবে না আর দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
- এখনও ৩১ হাজার হজযাত্রীর ভিসা হয়নি
- ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কর্মদক্ষ যুবসমাজের বিকল্প নেই
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ
- চাকরির নামে টাকা নেওয়া দুই কনস্টেবল বরখাস্ত
- পাবনায় কক্ষে ঢুকে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি
- সরকারের প্রথম চার মাস: রাজনীতিতে স্বস্তি অর্থনীতিতে উৎকণ্ঠা
- হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- রংপুর মেডিকেলের আইসিইউতে আগুন
- আজ বিশ্ব মা দিবস
- আকস্মিক বন্যা: আফগানিস্তানে একদিনে ২০০ জনের বেশি নিহত
- জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
- তৃণমূল থেকে মানুষের উন্নয়নে কাজ করে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী
- অস্ত্র ফেরত দিয়ে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আহ্বান
- ‘পার্বত্য চুক্তি হলেও আস্থা তৈরি হয়নি পাহাড়ে’
- দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- ফুলগাজীতে দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ৬ বুথে একটিও ভোট পড়েনি
- একাই ৪০ ভোট দিয়েছেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, অতঃপর...
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- তারেককে নিয়ে টালমাটাল বিএনপি
- ফেনীতে ২৪ ক্যান বিয়ারসহ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আটক
- বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিন : শেখ হাসিনা
- উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপির ১০ স্বজনের জয়
- তেলের দাম বাড়াল সৌদি
- শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জয়নুল আবদিন ফারুকের
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি
- আকস্মিক বন্যা: আফগানিস্তানে একদিনে ২০০ জনের বেশি নিহত
- ঠিকাদারের লোককে পেটানোর অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে
- মুখোশের আড়ালে ‘ভয়ংকর’ মিল্টন, যত অভিযোগ
- থার্ড টার্মিনালের পুরোপুরি ব্যবহার ৬ মাসের মধ্যে: বিমানমন্ত্রী
- নোয়াখালীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রেফতার
- লক্ষ্মীপুরে জাটকার কেজি ৮০০
- ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা