ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

১৫ মাস ধরে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

দুর্নীতি দায়ে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি ‘ফিরোজা’ দেখভাল করার কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর দলের কোনো নেতাই এ বাড়ির খোঁজ নেন না বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় গত ১৫ মাস ধরে বাড়িটির মাসিক ভাড়া পরিশোধ করা হয়নি। এমনকি বাকি পড়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, ময়লা বিলসহ অন্যান্য বিলও। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়। প্রশ্ন উঠেছে, দলের নেতাকর্মীরা কী ভেবেই নিয়েছেন খালেদা জিয়ার শেষ জীবন জেলেই নিঃশেষ হয়ে যাবে?

তথ্যসূত্র বলছে, কারাগারে যাওয়ার আগে ২০১০ সাল থেকে গুলশানে দেড় বিঘার বিশাল বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাবার পর থেকেই দলের নেতা কিংবা পরিবার ওই বাড়ির খোঁজ কেউ নিয়েছে বলে জানা নেই। এছাড়া খালেদা জিয়া কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে গুলশানের ফিরোজার বাসায় না উঠে, বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে উঠেছিলেন। অপরদিকে যেহেতু ওই দিকে বেশি কড়াকড়ি থাকে, ফলে আমাদের নেতারা গুলশানের দিকে খুব একটা যায় না। খালেদা জিয়ার আগের ভাড়া বাসা ফিরোজায় দু’চারজন কাজের লোক আর ফার্নিচার ছাড়া কিছুই নেই। কাজের লোকরা কি এখনো আছে কি না, সে বিষয়ও কিছু জানা নেই।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চাইলেও তারা এ বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। বরং তারা একে অন্যের উপরে দোষ চাপিয়েছেন।

তবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, বাড়ি ভাড়া, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ বিল মূলত রিজভীর তদারকি করা কথা ছিলো। তিনি যেহেতু পার্টি অফিসেই থাকেন, তাই সেখান থেকে রিজভীর তত্ত্বাবধায়ন করার কথা। কিন্তু তিনি যে সেটি করছেন না- সেটা তো আমাদের জানার কথা না।

মওদুদ আহমেদ আরও বলেন, যদিও প্রতিমাসে দলীয় তহবিল থেকে ম্যাডামের বাড়ি ভাড়াসহ ইউটিলিটি বিলের একটি খরচ দেখানো হয়। সেটি আসলে কোথায় যায়- এখন সেই প্রশ্ন দলে দানা বেধেছে দলের অভ্যন্তরে। ম্যাডামের বাড়ির বকেয়া বিল বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পাওয়ার পর আমরা ইমেজ সংকটে পড়েছি।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে আইনি লড়াইয়ে হেরে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়েন খালেদা জিয়া। তখন গুলশানে আগের বাড়ির পাশেই ভাড়া নেন ফিরোজা। সেখানে তিন বছরের জন্য ওঠেন তিনি। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িটিই ফিরোজা। ২০১০ সালে অগ্রিম ১০ লাখ টাকায় এই বাড়িটি ভাড়া নেন খালেদা জিয়া। পরে, ২০১১ সালে ৩ বছরের জন্য বাড়িটি ভাড়া নেন বিএনপি নেতা মোছাদ্দেক আলী ফালু। তখন এর মাসিক ভাড়া ধরা হয় তিন লাখ টাকা। ভাড়া বাড়ি হিসেবে প্রথম দফায় তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এরপর কয়েকদফা নবায়ন করা হয় চুক্তির। সে চুক্তিও শেষ হয় পনের মাস আগে।

বাড়ির মালিক বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। এ অবস্থায় বাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা বিশেষ কিছু বলতে পারেননি।