হাতিয়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর হাতিয়াতে ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাসকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ ৬৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বর্তমান ইউপি সদস্যসহ ২ জনকে আটক করেছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের ছেলে বিটেল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার চরঈশ্বর ইউপির নরত্তোম দাসের ছেলে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন চন্দ্র দাস ও  চরঈশ্বর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গামছা খালি গ্রামের আনাজল হকের ছেলে আমজাদ। তার বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় অগ্নিসংযোগসহ ৭টি মামলা রয়েছে।

জানা যায়, ইউপি সদস্য রবীন্দ্রকে হত্যার ঘটনায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে নিহতের ছেলে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চরঈশ্বর ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আশ্রাফুল হক ও মামলায় ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে তার চাচা চরঈশ্বর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল হালীম আজাদকে।

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, দুই আসামিকে বৃহস্পতিবার রাতে চরঈশ্বর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
 
স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত বুধবার রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চর ঈশ্বর ইউপির নন্দ রোডে  ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি  রবীন্দ্র চন্দ্র দাসকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।  

জানা যায়, ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চর ঈশ্বর ইউপির ৩ ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। আসন্ন ইউপি নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। আগামী ২১ জুন ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় বাংলাবাজারে ক্লোস্টোরে রেখে মাছের ব্যবসা করতেন।

বুধবার রাত পৌনে ২টার দিকে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আল আমিনসহ মোটরসাইকেলে হাতিয়া পৌরসভার ওছখালী এলাকার মাস্টার পাড়ায় তার বাসায় যাচ্ছিলেন। যাত্রা পথে তাদের মোটরসাইকেলটি চরঈশ্বর প্রধান সড়কের খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নন্দ রোডে পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত তাদের লক্ষ্য কর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা আল আমিন দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও হামলাকারীদের হাতে আটকা পড়েন রবীদ্র।

হামলাকারীরা প্রথমে রবীন্দ্রকে গুলি ও পরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং তার হাতের কব্জি ও পায়ের রগ কেটে ফেলে যায়। পরে একদল টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রবীন্দ্রকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।