ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সৌরবিদ্যুৎ খাতে কর্মসংস্থানে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ খাতের কর্মসংস্থানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬১টি দেশের মধ্যে পঞ্চম।

নবায়নযোগ্য শক্তি খাতের বৈশ্বিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিনিউঅ্যাবেল এনার্জি এজেন্সির (আইরিনা) ‘নবায়নযোগ্য শক্তি ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈশ্বিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবে।
 জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করে আইরিনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সংস্থাটির সদর দপ্তর। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৬১টি দেশ আইরিনার সদস্য।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলছে, অফ-গ্রিডে (জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংযোগের বাইরে) সৌরশক্তির প্রসার শুধু নতুন কর্মসংস্থানই তৈরি করছে না, গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নবায়নযোগ্য শক্তির এই বিকেন্দ্রীকরণ শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় বরং কৃষিকাজ, খাদ্য সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্থানীয় ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সৌরবিদ্যুৎ খাতে কর্মসংস্থানে শীর্ষ দেশ চীন। দ্বিতীয় জাপান, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র ও চতুর্থ ভারত। বাংলাদেশের পরে আছে ভিয়েতনামে, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, জার্মানি ও ফিলিপাইন।

কর্মসংস্থানের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ। এখানে পুরো সরবরাহব্যবস্থাকেই (ভ্যালু চেইন) তুলে ধরা হয়েছে। যে সোলার প্যানেল লাগাচ্ছে, যে দোকানদার বিক্রি করল বা যে সারাইয়ের কাজ করে—সবাইকে এ কর্মকাণ্ডের মধ্যে ধরা হয়েছে
মোহাম্মদ আলাউদ্দিন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৫৮ লাখ সৌরবিদ্যুৎ বা সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। এসব বিক্রি, স্থাপন করা ও রক্ষণাবেক্ষণে বেশির ভাগ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যেমন প্রায় ১০ হাজার মানুষ কাজ করেন সৌরবিদ্যুতের ‘মডিউল’ সংযোজন কাজে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) হিসাবে, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে। এর মধ্যে ৪০০ মেগাওয়াট আসে সৌরশক্তি থেকে। 

বাংলাদেশে প্রায় ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। এসব বিক্রি, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে  কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে
বাংলাদেশে প্রায় ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। এসব বিক্রি, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছেছবি: সংগৃহীত
আইরিনার প্রতিবেদনে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা স্রেডার দেওয়া বলে উল্লেখ করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থানের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ। এখানে পুরো সরবরাহব্যবস্থাকেই (ভ্যালু চেইন) তুলে ধরা হয়েছে। যে সোলার প্যানেল লাগাচ্ছে, যে দোকানদার বিক্রি করল বা যে সারাইয়ের কাজ করে—সবাইকে এই কর্মকাণ্ডের মধ্যে ধরা হয়েছে।’

তবে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে কর্মসংস্থানের এই হিসাবকে অনেকটা বাড়িয়ে বলা বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম। তিনি বলেন, দেশে যে প্রায় ৬০ লাখের মতো সোলার হোম সিস্টেম আছে। এর বিপরীতে কিছু কারিগরি কর্মী তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ সংখ্যা খুব বেশি হবে না।

অধ্যাপক ম তামিমের ধারণা, প্রায় ৬০ লাখ সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেমের মধ্যে এখন স্থাপিত আছে ৩০ লাখের মতো। অনেকেই ব্যাটারি বা অন্য কিছু নষ্ট হওয়ার পর আর এটা চালায় না। আবার অনেকে এলাকা জাতীয় গ্রিডের অধীনে চলে গেছে।

সৌরবিদ্যুৎ খাতে কর্মসংস্থানে শীর্ষ দেশ চীন। দ্বিতীয় জাপান, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র ও চতুর্থ ভারত। বাংলাদেশের পরে আছে ভিয়েতনামে, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, জার্মানি ও ফিলিপাইন
আইরিনার প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৩৮ লাখ কাজ করছেন সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শিল্পে। সৌরশক্তির পরই জৈব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ২৫ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই রয়েছে জলবিদ্যুৎ ও বায়ুবিদ্যুৎ। এ দুই খাতে যথাক্রমে প্রায় ২০ লাখ ও ১২ লাখ মানুষ কাজ করছেন।

দেশে যে প্রায় ৬০ লাখের মতো সোলার হোম সিস্টেম আছে। এর বিপরীতে কিছু কারিগরি কর্মী তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ সংখ্যা খুব বেশি হবে না
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম
কোভিড আক্রান্ত ও পরবর্তী বিশ্বে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই বলে মনে করছে আইরিনা। সংস্থাটি বলছে, প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের মধ্যেই এই খাতে আরও বিশ্বে ৫৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। আর একই গতিতে চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষের কাজের সুযোগ করে দেবে এই খাত।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকার সৌরবিদ্যুতের প্যানেল কিনতে সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। বাংলাদেশে এ খাত আরও গতিশীল হতে পারে, যদি প্রযুক্তি আধুনিক হয়। তিনি বলেন, ‘এখন যে প্রযুক্তি আছে, তা আমাদের মতো দেশের জন্য সাশ্রয়ী নয়। ধনী দেশের মানুষ সৌরবিদ্যুতের যন্ত্রাংশ যত সহজে কিনতে পারে, আমরা তা পারি না। তাই প্রযুক্তি–সাশ্রয়ী করাটা জরুরি।’