ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই: জাতীয় মানবাধিকার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯  

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পায়নি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি। তবে তারা ওই নারীকে গুরুতর আঘাত ও ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ ওই ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কমিশন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের দিন রাতে সোহেল, হানিফ, চৌধুরী, স্বপন, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন গৃহবধূর বসতঘর ভাংচুর করে। একপর্যায়ে তারা স্বামী ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে ঘরের বাইরে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ শেষে পিটিয়ে আহত করে। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা বসতঘর ভাংচুর করে ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। পছন্দের প্রতীকে ভোট দেওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটে বলে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পুলিশ অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের কমিটিতে প্রধান ছিলেন কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর। অন্য দুই সদস্য হলেন- কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক ও গাজী সালাহউদ্দিন।

গত ১ জানুয়ারি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনের পরিচালকের (অভিযোগ ও তদন্ত, জেলা ও দায়রা জজ) নেতৃত্বে তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। এই দলটি পরের দিনই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী, তার স্বামী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এসে কমিশনে প্রতিবেদন তৈরি করে তা দাখিল করেন।

এরপর ৮ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কমিশনের প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের অনুলিপি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক সমকালকে বলেন, পারিবারিক শত্রুতার জেরে রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমাদের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার এজাহারে ওই নারীর ধানের শীষের নেতাকর্মী ও সমর্থক হওয়া, ধানের শীষে ভোট দেওয়া এবং আসামিরা নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মী, সমর্থক ও পোলিং এজেন্ট কিংবা নির্বাচনী বিরোধের জেরে মারধর বা ধর্ষণের শিকার হওয়ার কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই। বরং এজাহারে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে মারধর ও ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই নারী তদন্ত কমিটির সামনে দেওয়া জবানবন্দির কোথাও বলেননি, তিনি ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন। তার স্বামীও এসব কথা বলেননি।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়া বা ভোট দেওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বা আসামিরা আওয়ামী লীগের কর্মী কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর মাধ্যমে ওই নারী মারধর ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।