ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রায়হানের কবরেও লেখা হলো পুলিশের নির্যাতনের কথা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

সিলেটের আলোচিত রায়হান হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে সেখানকার বাতাসে। পুলিশের হেফাজতে নির্মম এ হত্যাকাণ্ড শুধু তার স্বজনদেরই আপ্লুত করেনি, সিলেটের সচেতন মহলও হত্যার প্রতিবাদে হয়েছে সোচ্চার। যে যার অবস্থান থেকে করেছেন প্রতিবাদ। তারই প্রমাণ মিলল রায়হানের কবরে। তার কবরে ছোট্ট সাইনবোর্ডে লেখা একটি বিষয় এরইমধ্যে সবার নজরে এসেছে। যাতে লেখা রয়েছে মৃত্যুর দিনক্ষণ, সেই সঙ্গে লেখা রয়েছে পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যুর কথাও। 

গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে রায়হানকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। ওইদিন সকালে তিনি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। নির্যাতন করার সময় তৌহিদ মিয়া নামে এক পুলিশ সদস্যের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন।

রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন।

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরীর কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি লাশ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে রায়হানের শরীরে ১১১ আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। আঘাতগুলো লাঠি দিয়েই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হান মারা যান।

এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর দুপুরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতারের পর পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

এর আগে, রায়হানের মৃত্যুর জন্য দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এরমধ্যে এসআই আকবর ১৩ অক্টোবর সকালে পুলিশ লাইন থেকে পালিয়ে যান।