ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মিনায় হজযাত্রীরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০১৯  

হজ পালনের উদ্দেশ্যে লাখো হজযাত্রী এখন মিনায় অবস্থান করছেন। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কাজ শুরু হয়, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ তারিখে।

গত বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর থেকে মক্কায় অবস্থানরত হজযাত্রীরা নিজ নিজ কামরা কিংবা মসজিদে হারাম থেকে হজের ইহরাম বেধে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। 

যারা মক্কায় ছিলেন না কিংবা সৌদি আরবের হজযাত্রী, তারা সরাসরি মিনা চলে যাবেন। রাতে যারা মিনা পৌঁছতে পারবেন না, তারা সকালে মিনা যাবেন। সৌদির হাজিদের ব্যবস্থাপক মুয়াল্লিম হাজিদের মিনায় যাওয়ার গাড়ির ব্যবস্থা করেন। অনেকে আবার নিজ উদ্যোগে কিংবা পায়ে হেঁটে মিনা যাবেন।

বিগত কয়েক বছরের তুলনায় হজযাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই পথে যথেষ্ট ভিড় রয়েছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় তৎপর। হাজিদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে। মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে, বিভিন্ন ভাষায় প্রচারপত্র বিতরণ করে হাজিদের নানা বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। হজপালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। মিনাতে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। লোক সংকুলান না হওয়া বেশ কিছু তাঁবুতে দ্বিতল খাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মিনাকে তাঁবুর শহর বলা হয়। এটা মক্কা প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ও মক্কার পার্শ্ববর্তী একটি এলাকা। মক্কা থেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। মিনার আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।

হজপালনের অংশ হিসেবে হজপালনকারীদের মিনায় অবস্থান করতে হয়। হজপালনকারীদের জন্য মিনায় প্রায় ১ লাখ অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবুতে হজযাত্রীরা অবস্থান করে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেয়া রয়েছে।

স্থাপিত তাঁবুর সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মিনায় হজপালনকারীরা ৮ জিলহজ রাত থেকে আরাফাতের ময়দানে চলে যাবেন ৯ জিলহজ। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান শেষে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন করবেন। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন শেষে ১০ জিলহজ তারিখে এখান থেকে ছোট ছোট কঙ্কর সংগ্রহ করে পুনরায় মিনায় গিয়ে বড় শয়তানকে (জামারায়ে উকবা) কঙ্কর নিক্ষেপ করে কোরবানি শেষে মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল (ইহরাম খুলবেন) হবেন।

এরপর মক্কায় এসে তাওয়াফে জিয়ারত (তাওয়াফ ও সায়ি) শেষে আবার মিনায় যেয়ে (ছোট, মধ্যম ও বড়) শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে হাজিদের। এটা হজের ওয়াজিব আমল।

মিনায় অবস্থান, কোরবানি, শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য মিনায় এই কয়দিন খুব ভিড় থাকে। মিনায় বাদশাহর বাড়ি, রয়েল গেস্ট হাউজ, মসজিদ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন অফিস রয়েছে। মিনায় রেলস্টেশন আছে ৩টি।

মিনার সীমানা হলো- পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে মুহাসসার উপত্যকা ও জামরা ‘আকাবা ও মধ্যবর্তী’ স্থান। আর উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে দু’পাশের সুউচ্চ দু’টি পাহাড়।

সাধারণত হজযাত্রীরা মক্কা থেকে মিনায় সড়কপথে যান। তবে ট্রেনে যাওয়ারও ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এ জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা করে রাখতে হয়।