ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোটারবিহীন ভোটের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২১  

১৯৭৮ সালের ৩ জুন, একাধারে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, প্রধান আইন প্রশাসক পদে থেকে জিয়াউর রহমান এক প্রহসনের নির্বাচন করেছিল এ তথ্য মোটামুটি সবার জানা। তবে এটাই কিন্তু জিয়ার হাস্যকর ও নিষ্ঠুরতার প্রথম উদাহরণ নয়।

এর আগে ১৯৭৭ সালে এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে ক্ষমতাচ্যুত করে, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। এরপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে একটি হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করেন তিনি। লোক দেখানো সেই ভোটের আগে, বিক্ষোভের ভয়ে, রাস্তায় কোনো মানুষকে পর্যন্ত বের হতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো প্রচারণাও করা হয়নি। ভোটের দুদিন আগে সড়কের পাশের দেয়ালে, চলমান রিকশা-বাস ও মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জোড় করে জেনারেল জিয়ার সামরিক পোশাক পরিহিত পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এক ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো হয় মানুষের মধ্যে।

স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান প্রথমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এরপর নিজের ক্ষমতা সুসংহত করতে ধ্বংস করে দিয়েছেন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। হ্যাঁ-না ভোট নামের একটি তামাশার প্রচলন ঘটিয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে, ভোটারবিহীন ভোটের প্রবর্তকও তিনি। জিয়াউর রহমানের অবৈধ ক্ষমতার মোহের কারণেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থাপনায় পতিত হয় বাংলাদেশ। ফলে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটে।

ভোটারবিহীন নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের শতভাগ ভোটের বিজয় এবং স্বৈরাচারী শাসন চালুর ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতি প্রচলনের জন্য, জাতির কাছে জিয়াউর রহমান মীরজাফরের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে।