বেগম জিয়াকে উসকানি দিচ্ছেন ফখরুল, চলছে তারেকের নজরদারি

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২ বছরের অধিক সাজা ভোগ করার পর সরকারের মহানুভবতায় মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মুক্তি পেয়ে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। কেবলমাত্র দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া কারো সাথে দেখা করছেন না বিএনপি নেত্রী।

এমতাবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে, দলীয় নেত্রীকে নিজের মতো পরামর্শ দিচ্ছেন মহাসচিব। নেত্রীর মুক্তির পর তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগও কমিয়ে দিয়েছেন ফখরুল। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় মির্জা ফখরুলের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বিশ্বস্ত একজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক। করোনা পরবর্তীতে দলের সম্মেলন ও নেতৃত্ব নির্ধারণে নেত্রীকে নিজের মতো করে পরামর্শ দিয়ে নেত্রীর মগজ ধোলাই করছেন ফখরুল। পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ হারাতে পারেন তারেক- এমন সন্দেহ থেকে মির্জা ফখরুলের উপর নজরদারি বাড়িয়েছেন তিনি। মির্জা ফখরুলের গোপন সব ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত করতে স্থায়ী কমিটির বিশ্বস্ত একজন নেতাকে খবরদারীর দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার মুক্তির পর তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। দু-এক জায়গা তিনি মুখ ফসকে বলেছেন যে, নেত্রী না থাকায় অর্বাচীন ও বয়সে ছোট তারেকের নেতৃত্ব মানতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নেত্রীর মুক্তির পর তিনি আর তারেকের স্বৈরাচারী আচরণ সহ্য করবেন না। যার কারণে তিনি তারেককে এড়িয়ে চলছেন।

এদিকে বিষয়টি অনুধাবন করে মির্জা ফখরুলের গতিবিধির উপর নজর রাখতে স্থায়ী কমিটির এক সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক। ফখরুল কোথায় যান, কার সাথে কথা বলেন- বিশেষ করে নেত্রীকে কি পরামর্শ দেন সেগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট চান তিনি। কারণ তার কানে খবর পৌঁছেছে যে, করোনা পরবর্তীতে দলের কাউন্সিলে অভিযোগমুক্ত দলীয় প্রধান নির্বাচনে বেগম জিয়াকে নানাভাবে উসকানি দিচ্ছেন ফখরুল। আর বেগম জিয়াও নাকি তার কথায় সায় দিচ্ছেন। বিষয়টি যদি সত্যি হয় তবে আগামীতে দলের কর্তৃত্ব হারাতে পারেন তারেক। এমন শঙ্কা থেকেই মির্জা ফখরুলকে দেখে রাখতে বিশেষ একজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক।