ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পরশুরামে দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্ক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২০  

দুই লক্ষাধিক জনঅধ্যুষিত ফেনীর  পরশুরাম উপজেলায়  রবি,গ্রামীণ ও বাংলালিংক অপারেটরে দুর্বল নেটওয়ার্ক।  চরম দুর্ভোগে রয়েছেন দেশ-বিদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বারবার নম্বর ডায়াল করেও নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন মিলছে না। যখন মিলছে, তখন কথা অস্পষ্ট। মাঝে মধ্যে কল কেটেও যাচ্ছে। এক সময় জোরে এক সময় এমন আস্তে শব্দ আসছে যে ঠিক করে শোনাই যাচ্ছে না। একই অবস্থা মোবাইল নেটেরও। ‘থ্রি-জি’ নেটওয়ার্কের ফোনেও কোনও কিছু ডাউনলোড বা আপলোড করতে গিয়ে হাত ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। লোডিং-এর চাকা ঘুরেই যাচ্ছে স্ক্রিনে।

বৃষ্টি ছাড়াও মোবাইল নেট পরিষেবা নিয়ে পরশুরামের গ্রাহকদের বহু অভিযোগ রয়েছে। ‘থ্রি-জি’ বা ‘ফোর-জি’ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলা হলেও বহু এলাকাতেই তা অমিল। বেশিরভাগ সময়ই মোবাইলগুলির স্ক্রিনে থ্রি-জি’র এইচ’এর বদলে ‘ই’ লেখা হয়ে থাকে। ফলে নেট ক্রমশ গতি হারিয়ে ফেলে। আবার বিদ্যুৎ পরিষেবা আচমকা বন্ধ হলে মোবাইলের নেটওয়ার্কও স্তব্ধ হয়ে যায় অনেক জায়গায়। এর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলায় অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সুবার বাজারে অবস্থিত রবি টাওয়ারটি স্থাপনের পর থেকেই এর আওতাভুক্ত গ্রাহকদের মোবাইল নেটওয়ার্কে বিড়ম্বনা রয়েছে।কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও এটি মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

শহরের মোবাইল গ্রাহকরা সহজেই ফোরজি সুবিধা পেলেও এমন সুযোগ সুবিধা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের গ্রাহকরা।

গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটক – এ চার অপারেটরের গ্রাহকরাই নেটওয়ার্ক সমস্যা, কলড্রপ ও মানসম্মত সেবা থেকে বেশি বঞ্চিত। তবে ভোগান্তি থাকলেও মানুষ তুলনামূলক কম অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কারণ অভিযোগের পথটি সহজ নয়।

পৌর এলাকার বাউরপাথর গ্রামের সাহিদুল ইসলাম গিয়াস জানান, আমাদের এলাকায় বর্তমানে কোনো টাওয়ারের নেটওয়ার্ক নেই। নেটওয়ার্ক ফেরাতে কোম্পানিগুলোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।

কলড্রপ থেকে শুরু করে ঘরে মোবাইলের নেটওয়ার্ক যন্ত্রণায় ভুগেছেন বেশির ভাগ গ্রাহক।ঘরে নেটওয়ার্ক না থাকা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারও করতে পারেননি বেশিরভাগ গ্রাহক। এতে মোবাইল কোম্পানীগুলোর উপর বেশ চটেছেন ব্যবহারকারীরা।

গ্রাহকেরা জানান, কয়েক বছর আগেই ডিজিটাল যুগে পা রেখেছে বাংলাদেশ। আকাশে উঠছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেড়েছে যোগাযোগ। টু-জি থেকে ফোরজি আসলেও মোবাইল সেবা যাকে বলে তার সামান্যটুকু গ্রামে পাওয়া যাচ্ছেনা।

সবচেয়ে বেশি অভিযোগ মির্জানগর,বিলোনিয়া,নরনিয়া মুন্সীরখিল গ্রামের গ্রাহকদের।
তাঁরা বলছেন,  ফোর-জি পরিষেবার যুগে এখনও মোবাইলে নেট সমস্যা। চরম হতাশার কথা।

বেশি অভিযোগ রবির বিরুদ্ধে:

২০১৮ সালের ১ মে থেকে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা অভিযোগের তথ্য রয়েছে বিটিআরসির কাছে। সে তথ্য অনুযায়ী, নেটওয়ার্কজনিত সমস্যায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে রবি। তাদের বিরুদ্ধে এ সময়ে ৪০৭টি অভিযোগ জমা হয়েছে। এরপরই রয়েছে গ্রামীণফোন (১৬৯), বাংলালিংক (১৪৮) এবং সবশেষে টেলিকটের বিরুদ্ধে ১০৩টি অভিযোগ পড়েছে।

মানসম্মত সেবাজনিত অভিযোগও সবচেয়ে বেশি এসেছে রবির বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ২০৯ অভিযোগ জমা হয়। তারপরের অবস্থানই গ্রামীণফোনের (৯৮), টেলিটক (৮০) এবং এ ক্ষেত্রে ভালো অবস্থান বাংলালিংকের (৩১টি)।

দেখা যায় গুগলের চাকা ঘুরেই চলেছে। ফোনে কথা বলার সময়ও বারবারই চলে যাচ্ছে নেটওয়ার্ক। মাঝেমধ্যে স্ক্রিনে নেটওয়ার্ক ফিরে এলেও ফোনে কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রয়োজনে জরুরি ফোনও করা যাচ্ছে না।