ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালীতে শীতে নবজাতকসহ ৪৫ শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ২ শতাধিক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২০  

নোয়াখালীতে কনকনে শীতে নবজাতক সহ ৪৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে আরও দু’শতাধিক শিশু। মেডিকেল সূত্র জানায়, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসায় হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবদায়ক (উপ-পরিচালক) ডাক্তার খলিলুর রহমান জানান। এ বারের তীব্র শীতে শীতজনিত রোগ বালাই যেমন শিশুদের সর্দি, কাশি, জ্বর এবং  জ্বর থেকে নিমোনিয়া, গলা ব্যাথা রোগে ব্যাপক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি। শুধুমাত্র নোয়খালী জেনারেল হাসপাতালেই গত ১৫ দিনে ৩১ শিশু মারা গেছে। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে শতাধিক  শিশু।

তাদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুল হক মানবজমিনকে জানান, নোয়াখালীর ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই প্রতিদিন প্রচুর শিশু রোগী আসে। সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে  শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় খারাপ রোগী শিশু হয়। আবার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাদেরকে ঢাকা বা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পাঠানো হয়। তিনি জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলিতে ওষুধ থাকলেও অক্সিজেন অপ্রতুল থাকায় সব সময় চিকিৎসা দেয়া যায় না। জেলায় জেনারেল হাসপাতাল সহ ৪৫টি শিশুর মৃত্যু রেকর্ড থাকলেও শিশু মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. সামছুল করিম জানায় গ্রামে গঞ্জে মায়েরা সচেতন না হওয়ায় শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে। শিশুরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ার সাথে সাথে যদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় তাহলে শিশু মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব। তাছাড়া গ্রামের পল্লী  চিকিৎসকদের অপচিকিৎসায় ও শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে। তাই গ্রামেগঞ্জে বিশেষ করে চরাঞ্চলে এ মুহূর্তে স্বাস্থ্য সচেতন কার্যক্রম চালানো উচিত।