ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালীতে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০  

নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে জেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আর এই বিমানবন্দর দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন নোয়াখালীবাসী।জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অধিদফতরের পূর্বে চর শুল্যকিয়া নামক স্থানে১৯৯৫ সালে সরকারিভাবে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বিমানবন্দরটি নির্মাণের জন্য কৃষি অধিদফতর বীজ সংরক্ষণের প্রায় ৪০ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। নির্মাণ সম্পন্ন হয় বিমানবন্দরের রানওয়ের, যেখানে প্রাথমিকভাবে খরচ হয় প্রায় দুই কোটি টাকা। কিন্তু কিছু জটিলতায় সংযোগ সড়ক ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত না হওয়ায় বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। আজ পর্যন্ত ওই বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

সরকারি উদ্যোগে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য শিল্পকারখানা গড়ে না উঠলেও বেসরকারী উদ্যোগে অনেকগুলো এগ্রো বেইজড ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠে এ অঞ্চলে। তাই সাগরতীরের নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চলের শিল্প সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবে সরকার।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্থানীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের এ দাবি অবশেষে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির পক্ষ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এভিয়েশন অথোরিটি কোনো ফান্ড না দেয়ায় এ সমীক্ষা কমিটির কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

নোয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ধর্মপুর ইউপির উত্তর ওয়াপদা বাজারের পাশে জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অধিদফতরের আগের তৈরি রানওয়েসহ বিশাল জায়গায় প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নির্মাণ কাজের পরামর্শক নিয়োগ শেষে সমীক্ষা ও যাচাইয়ের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফান্ড না দেয়ায় তারা কাজ করতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিমানবন্দর সমীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ ইউছুফ মিয়া জানান, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি কোনো ধরনের ফান্ড না দেয়ায় আমরা কাজ করতে পারছি না।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ মোট ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও অর্থনৈতিক ফান্ড না থাকায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারিনি।

প্রস্তাবিত জায়গায় পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২২ জুলাই সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্থান পরিদর্শন করে বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেন। তিনি বিমানবন্দরের স্থান পরিদর্শনে এসে বলেন, আমি নোয়াখালীর সন্তান হিসাবে নোয়াখালীর জন্য কিছু করার স্বপ্ন ছিলো দীর্ঘদিন।

বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় নোয়াখালী অঞ্চলে প্রবাসীদের হার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হলে তারা সরাসরি বিদেশ থেকে নোয়াখালীতেই আসতে পারবে। একই সঙ্গে নিঝুম দ্বীপে বিদেশি পর্যটকরাও আসতে পারবে। এতে তাদের বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হবে না এবং ঢাকার বিমানবন্দরের উপরও চাপ কমে যাবে।

নোয়াখালীর প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী জানান, নোয়াখালীতে বিমানবন্দর এখন আর স্বপ্ন নয় এটা বাস্তব। আমি বারবার বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন করেছি।

নোয়াখালীর ডিসি তন্ময় দাস জানান, নোয়াখালীতে বিমানবন্দর নির্মানের ঘোষণা দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর সম্মতি রয়েছে। জেলাবাসী দ্রুত বিমানবন্দর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।

তিনি আরো জানান, আমরা বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত। কিছুদিনের মধ্যে একটি বিশেজ্ঞক টিম আসবে। বিমানবন্দর নির্মাণ হলে নোয়াখালীর অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে।