ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন শুরু এপ্রিলে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ময়মনসিংহের সুতিয়াখালীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। আগামী এপ্রিলের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি তোলা ছবি। 

ময়মনসিংহের সুতিয়াখালীতে প্রস্তুত হচ্ছে দেশের এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পথে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উৎপাদন শুরু হলে তা ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালী জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি সিন-পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করছে। তদারকিতে আছে বাংলাদেশ সরকার।

বর্তমানে প্রকল্পের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এর আগেই এপ্রিলে কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন।

এখানকার ৫০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালীস্থ জাতীয় গ্রিডে। প্রকল্প স্থান থেকে জাতীয় গ্রিডের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এর মধ্যে এক কিলোমিটার যাবে টাওয়ারের মাধ্যমে। বাকি চার কিলোমিটার যাবে মাটির নিচ দিয়ে। ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে আছেন বিদেশি প্রকৌশলীরাও।

এইচডিএফসি সিন-পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ মো. শফিকুল ইসলাম পিএসসি (অব.) জানান, সরকারের সব নিয়মনীতি মেনে এই কাজ চলছে। পরিবেশবান্ধব এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে দু-তিন মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে। প্রকল্পটির কারণে স্থানীয়ভাবে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি এখানে কাজ করছে। তিনি জানান, বাংলাদেশে চলমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আছেন ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (দক্ষিণ) নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিত দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিনিয়োগ ও সরকারি তদারকিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের বিদ্যুৎ খাত যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি সুফল পাবেন ময়মনসিংহের মানুষ। বিশেষ করে সেখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।