ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারা বাতিল প্রমাণ করে বিএনপি দুর্নীতিবাজ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২০  

বিএনপির গঠনতন্ত্রে উল্লেখ ছিল উন্মাদ, দেউলিয়া, দণ্ডপ্রাপ্ত বা দুর্নীতিগ্রস্ত এমন কেউ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসতে পারবে না। বিএনপির সেই ৭ নম্বর ধারা বাতিল করে সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। এর মাধ্যমে বিএনপি দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তরা মনে করেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা রায়ের কয়েকদিন আগে দলটির গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করা হয়। এই গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের কথা প্রকাশিত হওয়ার পর জনগণ বিএনপিকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। এজন্য বিএনপির জনপ্রিয়তার এখন তলানিতে। তাদের কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষের সাড়া নেই। আন্দোলনে জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতাকর্মীরাও মাঠে নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, কাউন্সিল না করে হঠাৎ দলীয় সংবিধানের এমন একটি ধারা বাতিল করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা দুর্নীতিবাজদের একটি দল।এ দলের চেয়ারপার্সন দণ্ডিত, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দণ্ডিত। বিএনপি এখন স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের দল। যে দল রাতের আধারে সাত নম্বর ধারা বাতিল করে উন্মাদ, দেউলিয়া, দণ্ডপ্রাপ্ত বা দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রায় দেয় সেই দল ও তাদের নেতাকর্মীদের দেশের মানুষ চায় না।

খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা ও গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসে। কারণ তারা মনে করে এভাবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা অগণতান্ত্রিক। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এবং দেশে অনুপস্থিত কাউকে দলের নেতৃত্ব দেয়াটা অশোভন। এরপর থেকে সারাদেশের জনগণের কড়া সমালোচনায় মুখে পড়ে বিএনপি।
 
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিতর্ক সৃষ্টি করে বিএনপি। এ কারণে একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রাম করতে ব্যর্থ হয় দলটি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত একটি দল। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা হাওয়া ভবন তৈরি করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছিল এবং হাওয়া ভবনের মূল কাজ ছিল সব ব্যবসায় দশ পার্সেন্ট টোল বসানো। যেটি সমগ্র দেশের মানুষ জানে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নিজে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ অর্থাৎ অপ্রদর্শিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। দেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে তার প্রয়াত পুত্র কোকোর পাচারকৃত টাকা সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারেক ও কোকো’র দু’টো ঘটনাই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা উদঘাটন করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় তারা দুর্নীতিবাজ।