ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কারাগারে ক্রিসেন্টের কাদের আত্মগোপনে জাজের আজিজ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

৯১৯ কোটি টাকা পাচারের দায়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রেপ্তার ক্রিসেন্ট গ্রুপের মালিক এমএ কাদেরের জামিন নামঞ্জুর করে গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে চাঞ্চল্যকর এ পাচারকা-ের অন্যতম হোতা কাদেরের ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার এমএ আজিজসহ বাকি ১৬ আসামির কেউ-ই গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। তারা যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, এ জন্য দেশের সব ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। নজর রাখছেন গোয়েন্দারাও।

এদিকে ৯১৯ কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত ক্রিসেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে নতুন করে ৪০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে আসছে সপ্তাহের মধ্যেই মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ক্রিসেন্ট গ্রুপের এ অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) নজরদারি করছে। তাদের পক্ষ থেকেও মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে দুদকের একাধিক সূত্র।

ক্রিসেন্ট গ্রুপের অর্থ কেলেঙ্কারিতে যাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে, তারা হলেন-ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম (মনি), রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুল জাহান (মিরা), জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জাহান, প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) মুহাম্মদ রুহুল আমিন, মো. মগরেব আলী, মো. খায়রুল আমিন, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) মো. আতাউর রহমান সরকার, ডিজিএম মো. ইকবাল, একেএম আসাদুজ্জামান, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিএমডি ফখরুল আলম এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বর্তমান ডিএমডি মো. জাকির হোসেন (তৎকালে জনতা ব্যাংকের জিএম)।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্রিসেন্ট গ্রুপের অর্থপাচারের বিষয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণও আমাদের হাতে এসেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমরা আরেকটি মামলা করব। তিনি বলেন, কাদের ছাড়াও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তারা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের মামলায় এমএ কাদেরকে ঢাকা সিএসএম আদালতে হাজির করেন। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানিয়ে আদালতে এ কর্মকর্তা বলেন, মামলাটির প্রাথমিক তদন্তে ওই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। বর্ণিত মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। তাই আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

এদিন সোয়া ৩টার দিকে কাদেরের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, অর্থপাচারের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিদেশ থেকে অর্থ আসছে, আসবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই মামলাটি করা হয়েছে। আসামির তিনটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার কর্মচারী কাজ করেন। তিনি জামিন না পেলে যদি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়, তবে কর্মচারীরাও বেকার হয়ে যাবে। কর্মচারীদের স্বার্থেই তার জামিন মঞ্জুর করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু এ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, পণ্য রপ্তানির নামে তারা ৯১৯ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এটি জামিন-অযোগ্য অপরাধ। তাই আসামির জামিন নামঞ্জুর করা হোক। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ জসিম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এমএ কাদেরের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হলেও এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। জনতা ব্যাংকের অর্থপাচারের এ ঘটনা তদন্তে গত বুধবার বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে তাকে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানানো হয়। পরে সন্ধ্যায় এমএ কাদেরসহ ১৭ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার মডেল থানায় মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।