কাবিলপুর ইউপিতে তুচ্ছ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলা

সেনবাগ  উপজেলার কাবিলপুর ইউপির মইজদিপুর গ্রামে  তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ির সন্ত্রাসী ইউনুছ হানিফ গংদের হামলারে আহত ব্যাপারী বাড়ির ইয়াছিন, তার ছোট ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক সামু ও বৃদ্ধা মা বিবি হাজেরা আহত হয়েছে।
ঘটনার বিবরণিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা যায়, সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউপির মইজদিপুর গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির আবদুল জলিল ও তার মাদকাশক্ত পুত্ররা এলাকার বিভিন্ন সময় মানুষের পুকুরের মাছ,আম জাম ফলফলাধী,হাস মোরগ ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে যায়। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে। এভবাবে গত ২৭মে সকালে জলিল ও তার মাদকাশক্ত পুত্ররা ব্যাপারী বাড়ির ইয়াছিনদের গাছের আম চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ইয়াছিন ও তার মা বাধা দেয়, এ সময় ঊভয়ের মধ্যে তর্ক বিকর্ত হয়। এর কিছুÿণ পর জলিল মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জনতাবদ্দ হয়ে অস্ত্র স্বশস্ত্রে স্বজ্জিত হয়ে ইয়াছিনদের সিমানায় অনাধিকার প্রবেশ করে রান্না ঘর ভাংচুর করে এবং অর্তকিত ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর স্বশস্ত্র হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে ইউনুছের হাতে থাকা ধারলে অস্ত্র দিয়ে ইয়াছিনের মাথায় কোপ দিলে সে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় সন্ত্রাসী হামলায় তার ছোট ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক সামু ও বৃদ্ধা মা বিবি হাজেরা আহত হয়। পরে তাদের শোর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত জখমী তিনজনকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

হাসাপাতালের জরুরী বিভাগের কতর্ব্যরত ডাক্তার জানান, ইয়িাছিনের মাথার দুপাশে গুরুত্বও কাটা জখম হয় এসময় তার মাথায় মোট ৮টি সেলাই দেওয়া হয়। এরমধ্যে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ইয়াছিনের মাথার আঘাত গুরুত্বর এবং সে ডায়াবেটিকস রোগী হওয়ার কারণে তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।